তথ্যপ্রযুক্তির সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর চার সদস্যর পদত্যাগের বিষয়টি মিডিয়াতে হইচই তোলে। ভেঙে পড়ার উপক্রম হয় সক্রিয় সংগঠনটি। কিন্তু সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা শেষ মুুহুর্তে হাল ধরে সোজা করেছেন সংগঠনটিকে। টিকিয়ে রেখেছেন অস্তিত্ব। বিআইজেএফের আনীত অভিযোগ প্রমাণ এবং সমাধানের উদ্যোগে চার নেতার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারও করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সোজা হয়ে দাঁড়ালেও আবার আগের মতো লাইনে আসবে কি সংগঠনটি?
সদস্যপদ বাচাই এবং প্রদানে অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতি সহ সাংগঠনিক সিদ্বান্তে অনাস্থা পূর্বক নিবার্হী কমিটি হতে গত ৩০ এপ্রিল, ২০১৮ সহসভাপতি, নাজনীন নাহার, সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, তরিকুর রহমান বাদল এবং প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক, মিজানুর রহমান সোহেল পদত্যাগ করেন। গতকাল রোববার আনীত অভিযোগ প্রমাণ এবং সমাধানের উদ্যোগে চার নেতা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন।
এমন পরিস্থিতিতে সংগঠর পরিচালনার স্বার্থে এ বিষয় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উদ্যোগে বিষয় গুলো আলোচনা এবং যাচাই বাচাই করা হয়। ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ সদস্য দল সদস্যপদ বাচাই এবং প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে সত্যতা যাচাই করে জানান যে, সদস্যপদ বন্টনে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটেছে। এর ভিত্তিতে তারা সর্বসম্মতিক্রমে সদস্যপদ স্থগিত ঘোষনা করে তা পুন:বিবেচনার সুপারিশ করেন এবং এ কাজটি করার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হবে বলে সিদ্বান্ত গ্রহন করেন।
পদত্যাগ করা সদস্যদের আনীত অভিযোগ সঠিক প্রমানিত হওয়া এবং তাদের দাবী মেনে নেয়া শর্তে তাদেরকে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়। সংগঠনের সিনিয়রদের উদ্যোগে নেওয়া সিদ্ধান্ত্মে সভাপতিসহ বাকি ৫ জন নির্বাহী সদস্য সহমত দিয়েছেন মর্মে পদত্যাগকারী সদস্যরা আজ জ্যেষ্ঠ সদস্যদের উপস্থিতিতে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করেন।
এই মর্মে পদত্যাগ কারীরা বলেন, আমাদের দাবি ছিল নিয়ম মেনে সদস্যপদ পুনর্বিবেচনা করা। তাই শর্ত পূরণ এবং জ্যেষ্ঠ সদস্যদের গৃহিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমরা সংগঠনের সাংগঠনিক স্বচ্ছতা এবং সকল সদস্যের সমান অধিকারে বিশ্বাস করেই সাংগঠনিকভাবে পদত্যাগ করেছি এবং আমরা জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছে কৃতহ যে তারা এর একটি সুষ্ঠ সমাধান করেছেন এবং এর পুরোটাই একটি সাংঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি কারন বিষয়টি আমাদেও কাছে সাংগঠনিক ব্যাক্তিকেন্দ্রীক কিছু নয়।
আশা রাখছি, সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা চার জন সহ বর্তমান নির্বাহী কমিটির সব সদস্য অবশিষ্ট মেয়াদের বাকি কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের চেষ্ঠা করবো।
এর আগে কমিটিতে থাকা এক সদস্য জানান, যে অভিযোগে নেতারা পদত্যাগ করেন তা ঠিক নয়। নিয়ম মেনেই নতুন সদস্য নেওয়া হয়েছিল।
তবে সাধারণ সদস্যরা অভিযোগ করেন, ভোট বাড়াতে কয়েকজন সদস্য যোগসাজশ করে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক নন এমন অপরিচিত অনেককে সংগঠনের সদস্য করেছেন। যাঁরা করেছেন তারা বিতর্কিত সদস্য।
অবশ্য, শেষ ভালো যার সব ভালো তার, এ নীতির কথা অনুযায়ী-বিআইজেএফ এখন সোজা লাইনে চললেই খুশি বলে মন্তব্য করেছেন বিআইজেএফের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য।
previous post