ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব), এন্টারপ্রেওনার্স অর্গানাইজেশন (ইও) বাংলাদেশ এবং ইজেনারেশন লিমিটেড যৌথভাবে সম্প্রতি ঢাকাস্থ লাহোর রেস্টুরেন্টে ‘স্কেলিংআপ বিজনেস গ্রোথ’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে।
উক্ত কর্মাশালায় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও উদ্যোক্তারা ব্যবসায়’র স্কেলিংআপ প্রক্রিয়া, সেগুলোকে ব্যবসায় যথাযথ বাস্তবায়ন, ব্যবসায়’র প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং টেকসই করার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কর্মশালাটির মূল লক্ষ্য ছিলো সময়োপযোগী এবং লক্ষ্য নির্ধারিত পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবসার সুনির্দিষ্ট এবং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়াটি সকলের সামনে তুলে ধরা। কর্মশালায় বিভিন্ন শিল্পখাতের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ এবং উদ্যোক্তারা অংশ নেন। উক্ত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ । এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে ভিসিপিয়াব সভাপতি ও ইজেনারেশন লি এর ব্যাবস্থাপন পরিচালক শামীম আহসান, ইও বাংলাদেশের বর্তমান সভাপতি ফারিয়ান ইউসুফ, সভাপতি (ইলেক্ট) মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন এবং সাবেক সভাপতি মাইক কাজি উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সুপরিচিত এবং সার্টিফায়েড স্কেলিংআপ কোচ মনোজ চুগানি কে কর্মশালাটি পরিচালনা করার জন্য হংকং থেকে নিয়ে আসা হয়। ব্যাংক, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্টার্টআপে সহ দেশের বিভিন্ন শিল্পখাত থেকে ৪০ জনের অধিক নেতৃবৃন্দ, উদ্যোক্তা এবং শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এই কর্মশালায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি স্কেলআপ পদ্ধতি প্রয়োগ করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আমি বিশ্বাস করি, যদি উদীয়মান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তবে তারা অবশ্যই লাভবান হবে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ সর্বদা উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে”।
ইজেনারেশন লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান বলেন, “স্কেলিংআপ বিজনেস গ্রোথ মেথডোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে এই কর্মশালাটি ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে ব্যাপক সহায়তা করেছে। ইজেনারেশন সবসময় বাংলাদেশের প্রযুক্তিখাতের স্টার্টআপগুলোকে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়তা করতে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ”।
ইও বাংলাদেশের সভাপতি ফারিয়ান ইউসুফ বলেন, “উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণ বিকশিত করতে ইও বাংলাদেশ সর্বদা তাদের পাশে রয়েছে। যেহেতু এই কর্মশালার মাধ্যমে দেশের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের সাথে উদ্যোক্তাদের একই ছাদের নিচে মিলিত হওয়া ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ হয়েছে তাই আমি বিশ্বাস করি অংশগ্রহণকারী সকলেই লাভবান হয়েছেন এবং এর মাধ্যমে তাদের ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ঘটাতে পারবেন”।