বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের আয়োজনে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাাম্পাসে ১১ অক্টোবর শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী আয়োজিত স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প আজ শেষ হয়েছে। নার্সারি থেকে দশম শ্রেনীর ৫০০ জন শিক্ষার্থী এ আয়োজনে অংশগ্রহন করে। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসাবে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ক্যাম্পে অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। বাচ্চাদের মাঝে এসে আর্ল মিলার বলেন, তিনি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেখে খুবই অভিভুত।
বিশেষ করে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা এখন থেকেই রকেট তৈরি ও স্পেস রোবট তৈরির মতো বিষয়গুলো জানতে পারছে, যা ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয় বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এই ক্যাম্পে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে আমি ভবিষ্যৎ নভোচারি দেখতে পাচ্ছি। তাছাড়া অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র এবং ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান উল্লেখ করে তিনি বলেন নারী-পুরুষ সমতার ক্ষেত্রেও এটি একটি উজ্বল উদাহরন। তিনি এ সময় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আরও বেশি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গনিত বিষয়ে আগ্রহী হওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সকালে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি (সিআইডি) আব্দুল কাহার আকন্দ ও সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ, নাসার সাবেক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার আজাদুল হক, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ডেল এর পরিচালক (সলিউশনস আর্কিটেকচার) মোহাম্মদ মাহদি উজ জামান।
প্রফেসর ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান এ সময় বলেন, আজকের বাচ্চারা আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। বাচ্চাদের জন্য এই ধরনের আয়োজন সত্যি প্রশংসনীয়। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে বাচ্চারা স্পেস, রোবট, রকেট এগুলো নিয়ে আরোও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
সামিটের আহবায়ক আমেনা ইসলাম সিনথিয়া আয়োজন সম্পর্কে বলেন, “বাচ্চাদের মাঝে মহাকাশ বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করা এবং সায়েন্স, টেকনলোজী, ম্যাথমেটিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলো বিশদভাবে তুলে ধরার জন্যে দুই দিনের এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। আমরা আশা করছি এই ক্যাম্পের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছে এবং এই বিষয়ে তারা ভবিষৎ গবেষনায় আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু বলেন, “শিশু কিশোরদের মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে নতুন নতুন আবিষ্কারে উৎসাহিত করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকেই স্পেস সায়েন্টিস্ট ও রকেট সায়েন্টিস্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী ১০ বছরের একটা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই স্পেস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুই দিনের এ আয়োজনে রকেট মেকিং ও লঞ্চিং ওয়ার্কশপ, স্পেস রোবট মেকিং ওয়ার্কশপ, অ্যাস্ট্রোনট ট্রেনিং, স্পেস প্রোগ্রামিং, স্পেস এডুকেশন, স্পেস লাইফ, টিম ওয়ার্ক, টিম বিল্ডিং স্কিল ডেভেলপমেন্ট, লিডারশীপ, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এবারের আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলো সিনেসিস আইটি, সিসটেক ডিজিটাল, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্পেস এন্ড রকেট সেন্টার বাংলাদেশ, ঢাকা কাস্ট এবং লাইভ টু ওয়েব।