বাংলাদেশের জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩-কে এশিয়ার সেরা সিটিজেন এনগেজমেন্ট প্রকল্পের স্বীকৃতি দিয়েছে গভইনসাইডার। এটি সরকারী খাতের উদ্ভাবনকে তুলে ধরার কাজে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান। সরকারী সেবা নেয়ার প্রক্রিয়া জানা এবং নানা সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য কল সেন্টারটিতে কল করতে পারেন নাগরিকরা।
থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককের ইউনাইটেড ন্যাশন কনফারেন্স সেন্টারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ৩৩৩-এর ই-সার্ভিস স্পেশালিস্ট ও ডেপুটি সেক্রেটারি মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন। সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই), রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং জেনেক্স ইনফোসিস-এর যৌথ উদ্যোগ হচ্ছে ৩৩৩ ।
২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল যাত্রা শুরুর পর থেকে সারাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ লাখ কল রিসিভ করেছে কল সেন্টারটি। এর মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ১২ হাজারের বেশি সামাজিক সমস্যার সমাধান এবং ৩ হাজারের বেশি বাল্য বিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক দুর্নীতি প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পেরেছেন বাসিন্দারা।
এভাবে জনসেবাকে গণমানুষের দোরগোরায় পৌঁছে দিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ৩৩৩। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় এ এক বড় সাফল্য।
সেরা সিটিজেন এনগেজমেন্ট প্রকল্পের স্বীকৃতি পায় এমন একটি প্রকল্প যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনসেবা সম্পর্কিত তথ্য দেয়া এবং এ পদক্ষেপে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে সমাজে লক্ষণীয় পরিবর্তন আনার মতো প্রভাব থাকতে হয় প্রকল্পটির।
গভইনসাইডার-এর কাছ থেকে সেরা সিটিজেন এনগেজমেন্ট প্রকল্পের পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি টেকসই অন্তর্ভূক্তি ও কমিউনিটি সেবা ক্যাটাগরিতে জাতীয় আইসিটি পুরস্কার ২০১৯ অর্জন করেছে ৩৩৩।