নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর সেলফি। দেশের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সর্বশেষ মডেলের ডিভাইস পরখ করে দেখার সুযোগ দিতে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ‘ স্মার্টফোন অ্যান্ড ট্যাব এক্সপো ২০১৮’। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিনদিনব্যাপি এই মেলা চলবে ১৩ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান অতিথি থেকে মেলার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক, শাওমি বাংলাদেশের সিইও দেওয়ান কানন, আমরা কোম্পানিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ ফারহাদ আহমেদ, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ডেপুটি ডিরেক্টর (হুয়াওয়ে ডিভাইস বিজনেস ডিপার্টমেন্ট) জিয়া উদ্দীন, এলজি মোবাইল বাংলাদেশ এর পরিবেশক প্রতিষ্ঠান মেট্রোসেম টেকনোলজিস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. শাহিদুল্লাহ, অপ্পো বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর ব্রæস লি, এডিসন গ্রæপের ডিজিএম মার্কেটিং মো. আসাদুজ্জামান এবং এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।
স্মার্টফোন অ্যান্ড ট্যাব মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছি। ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়ছে দেশে ট্যাব ও স্মার্টফোন ব্যবহার। সব মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবীর কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে পিছিনে নেই। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো।
তিনি আরো বলেন, আগামী বছর থেকে বেশি বেশি স্মার্টফোন ও ট্যাব মেলা দেশের বাহিরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও আয়োজন করা হোক। সেখানেও সবাই স্মার্টফোন ও ট্যাব কিনতে যাবে এটাই আশা। দেশের মানুষের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছালে কি হতে পারে সেটা আমরা গত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে দেখেছি। এছাড়া দেশি মোবাইল ব্র্যান্ডগুলো ধীরে ধীরে উঠে আসছে। কেউ ফ্যাক্টরি করছে আবার অনেকে চেষ্টা করছে। দেশি মোবাইল কোম্পানি ব্র্যান্ড ভালো করছে এটাই প্রত্যাশা।
বিশেষ অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এক সময় অনুষ্ঠানগুলোতে সব বিদেশি মোবাইল ব্র্যান্ড থাকত কিন্তু এখন দেশি ব্র্যান্ডগুলোও পাওয়া যায়, এটাই আমাদের অর্জন। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্মার্টফোন ও ট্যাব ইন্টারনেটের সঙ্গে জড়িত। যত ব্যবহার বাড়বে তত ফোনের ব্যবহারকারী বাড়বে। আর আমি মনে করি ডিজিটাল এই প্রযুক্তিপণ্য মানে ট্যাব ও স্মার্ট শিক্ষাগ্রহণের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত শিক্ষার হার বাড়বে, তত স্মার্টফোন ও ট্যাবের ব্যবহার বাড়বে।
দেশে স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ক¤িপউটার নিয়ে এটিই সবচেয়ে বড় আয়োজন। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এক্সপো মেকারের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট নিয়ে এটি নবম আয়োজন।
এবারের মেলায় বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পাওয়া যাচ্ছে। অংশ নিয়েছে স্যামসাং, টেকনো, শাওমি, উই, হুয়াওয়ে, এলজি স্মার্টফোন, অপ্পো, সিম্ফনি, লাভা, নকিয়া, লেনোভো, আসুস জেনফোন, উইনম্যাক্স, মাইক্রোম্যাক্স, ডিসিএল, ডিটেল, এডাটা, কিকসা ডটকম, আজকের ডিল, মেঘনা ব্যাংক ট্যাপ এন পে, কুইক ফিক্স, বিজয় ডিজিটালসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রতিষ্ঠান।
এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান জানান, প্রদর্শনী উপল¶ে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ ছাড় ও উপহার দিচ্ছে। দর্শকরা প্রযুক্তির আধুনিক সব স্মার্ট ডিভাইস যাচাই বাছাই করে দেখতে ও কিনতে পারছেন। রয়েছে অন্যান্য অনেক আয়োজন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।