কোন মোবাইল ফোনের ওপর আপনার আস্থা বেশি? বাজারে তো কত রকম মোবাইল ব্র্যান্ড! একেক জন একেক দাবি করে। তবে, ২০১৮ সালের ব্র্যান্ড ট্রাস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী , দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড স্যামসাং পর পর দুই বছর সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। স্যামসাংয়ের পক্ষে তাদের পিআর ফার্ম বেঞ্চমার্ক বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ দাবি করেছে। এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, ভারতের ১৬টি শহরের ২,৪৮৮টি ব্রান্ডের উপর এই টিআরএ গবেষণা প্রতিবেদনটি পরিচালনা করা হয়। ৫মিলিয়ন ডেটাপয়েণ্ট এবং ১৫,০০০ ঘন্টার কঠোর পরিশ্রমের পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে স্যামসাং এখনো বাজারে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের নাম। তার মানে, এটা ভারত ভিত্তিক তথ্য।
বাংলাদেশে কি অবস্থা? এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, স্যামসাং তাদের ব্যবসার সাফল্য ধরে রাখতে এগিয়ে চলছে এবং স্যামসাং-এর প্রতিযোগীরাও হাল ছেড়ে দিচ্ছে না। সনি এবং এলজি ২০১৭ সালের মতো এবারও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে অপ্পো তাদের অবস্থান উন্নত করেছে এবং তারা এবার ২৯তম জায়গা থেকে ১১তম জায়গায় চলে এসেছে। তবে স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাং-এর সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী অ্যাপল এবার ৪র্থ স্থান থেকে ৫ম স্থানে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশেও গত বছর যখন বিএমপিআই এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তাতে স্যামসাং বাংলাদেশের সবচেয়ে বিক্রিত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রমাণিত হয়। ২০১৭ সালে ৩৪৪ মিলিয়ন স্যামসাং মোবাইলফোন বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করেছিলো ।
প্রত্যেক ব্রান্ডের মধ্যে সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার এই প্রতিযোগিতা সবসময় চলতেই থাকবে। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, স্যামসাং এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র অংশ গ্রহণ করার জন্যই নয় বরং প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য তাদের সর্বোত্তম চেষ্টা করে যাচ্ছে।
স্যামসাং তো দাবি করল ভারতে তারা বিশ্বস্ততার দিক থেকে সেরা কিন্তু স্যামসাংয়ের ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলা হুয়াওয়ে, শাওমি, অপো, ভিভো, নকিয়া তাদের কি কোনো কিছু বলার নেই?