সাশ্রয়ী দামের আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নতমানের স্মার্টফোন কেনার কথা যারা ভাবছেন তাদের প্রথম পছন্দ হওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে দৃষ্টি-নন্দন ব্ল্যাক ও ব্লু কালার অপশনের স্যামসাং গ্যালাক্সি a20 (গ্যালাক্সি এ টোয়েন্টি)। গ্যালাক্সি এ টোয়েন্টিতে আছে ৩জিবি র্যাম ও ৩২জিবি রম। দেশের বাজারে ডিভাইসটির খুচরা দাম মাত্র ১৫,৯৯০।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে আসা কিংবা স্লো-মো এবং হাইপারল্যাপস ভিডিও ক্যাপচারের বিষয়গুলো যেনো নতুন দিনের চাহিদা। তরুণ প্রজন্মের মাঝে এই বিষয়গুলো এখন ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে। আর স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি এ টোয়েন্টিতে সে অনুযায়ী ক্যামেরা যুক্ত করেছে।
সাশ্রয়ী দামে ডিভাইসটিতে চমৎকার ক্যামেরা দিয়েছে টেক জায়ান্ট স্যামসাং। ব্যবহার করে এটি পরীক্ষিত যে, ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে এর ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স। গ্রুপে ছবি তুলতে গেলে কিংবা ল্যান্ডস্ক্যাপ ফুটেজ নিতে গেলে প্রশ্বস্ত জায়গা নেয়ার ক্ষেত্রেই ঝামেলা বাঁধে। তখন কোনো না কোন অংশ বাদ পড়ে যায়। এ সমস্যা অনায়াসে দূর করে দেয় ডিভাইসটির ৫ মেগাপিক্সেল ও ১২৩ ডিগ্রির আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স যার অ্যাপারচার এফ২.২। এছাড়া এফ১.৯ অ্যাপারচারের ১৩ মেগাপিক্সেলের মূল লেন্স ছবিকে করে আরো বেশি প্রাণবন্ত। ঢাকার হাতিরঝিল রাস্তায় চলার পথে ফোনটির ক্যামেরা দক্ষতার প্রমাণ মিলেছে। সেলফিপ্রেমিদেরও হতাশ করেনি স্যামসাং। দেয়া হয়েছে এ২.০ অ্যাপারচারের ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
ডিসপ্লের দিক দিয়ে বরাবরের মতো স্যামসাং অন্য সবার থেকে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে, আর এখানেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। ফোনটির ৬.৪ ইঞ্চির এইচডি+ ইনফিনিটি-ভি ডিসপ্লে সত্যিই মনো-মুগ্ধোকর। ক্ল্যাশ রয়্যাল, ক্যান্ডি ক্র্যাশ কিংবা ফুটবল স্ট্রাইক গেম খেলতে কিংবা ইউটিউব, ফেসবুক কিংবা নেটফ্লিক্সে হাই ডেফিনেশন ভিডিও দেখতে ব্যবহারকারীরা পাবেন দুর্দান্ত ডিসপ্লের অভিজ্ঞতা। ডিসপ্লের পিক্সেল এতটাই নিখুঁত যে প্রতিটি কন্টেন্ট দেখা যায় অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে।
মিউজিকপ্রেমীদের জন্য ডলবি এটমস প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে ডিভাইসটির অডিও সিস্টেমে। ফলে শুধু মিউজিক না বরং মুভি দেখা এবং গেম খেলার সময় মোবাইলটির সাউন্ড ব্যবহারকারীকে দেবে চমৎকার অভিজ্ঞতা।
স্বল্প বাজেটের মধ্যে স্যামসাং ব্যবহারকারীদের জন্য ফোনটিতে দিয়েছে এক্সিনস ৭৮৮৪ অক্টা-কোর প্রসেসর। এছাড়া র্যাম ও রমের ক্ষেত্রে ফোনটিতে রয়েছে যথাক্রমে ৩জিবি র্যাম ও ৩২জিবি রম। ফলে মাল্টিটাস্কিং হবে অনায়াসে। ফোনটিতে একই সময়ে জনপ্রিয় সব অ্যাপ ব্যবহার ও গেম খেলা যায় কোনো ধরনের ল্যাগ ছাড়াই। এর প্রসেসিং ইউনিট খুব দ্রুত ও দক্ষতার সাথে কর্ম সম্পাদনে সক্ষম। ফোনটিতে প্রসেসর, র্যাম ও রমের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে চমৎকারভাবে।
এই ফোনে স্যামসাং ব্যবহার করেছে অ্যান্ড্রয়েড পাই ৯.০ ভিত্তিক দ্রুত গতির স্যামসাং ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস)। স্যামসাং ইউআই (ইউজার ইন্টারফেস)-এর বিশেষ দিক হচ্ছে এটি অত্যন্ত হালকা, ফলে ফোনের ব্যাটারি খরচ হয় অনেক কম। বলা বাহুল যে, ইউআইটি সাজানো হয়েছে ট্রেন্ডি ফ্যাশনের বিষয়টিকে মাথায় রেখে।
ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৪,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং এতে সফটওয়্যারের সমন্বয় এমনভাবে করা হয়েছে যাতে পুরোদমে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারী পাবেন বাধাহীণ অভিজ্ঞতা। দ্রতগতিতে চার্জ নিশ্চিৎ করতে এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫ ওয়াটের টাইপ-সি পোর্ট।
মাত্র ১৫,৯৯০ টাকায় লাইভ, স্লো-মো, হাইপারল্যাপস সুবিধাসম্বলিত গ্যালাক্সি এ টোয়েন্টি দেশের বাজার মাতিয়ে রাখবে সেটাই স্বাভাবিক।
১ comment
আমার ফোনটির ডিসপ্লে নস্ষ্ট হয়ে গেছে, আপনাদের কাছেকি পাওয়া যাবে?