ইন্টারন্যাশনাল ডাটা কর্পোরেশনের (আইডিসি) বিশ্বব্যাপী ত্রৈমাসিক মোবাইল ফোন ট্র্যাকার থেকে ২০১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের বাজারে ২০১৯ সালে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.১ শতাংশ এবং মোট ২.৯৬ কোটি ফোন আমদানি হয়েছে।
১.১২ কোটির বেশি হ্যান্ডসেট বিক্রি এবং ১৬.১ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে বাংলাদেশ স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষস্থান বজায় রেখেছে স্যামসাং বাংলাদেশ। সিম্ফনি, ট্রান্সশন, ওয়ালটন, শাওমি যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, এবং পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। মার্কেট ভ্যালুর হিসেবে গত তিন বছর ধরেই স্যামসাং বাংলাদেশ স্মার্টফোন বাজারে মার্কেট লিডার। উদ্ভাবনী পণ্যের প্রতি ব্র্যান্ডটির প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাবই স্যামসাং’কে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
স্মার্টফোন ক্যাটাগরিতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মোট ৬৯ লক্ষ ফোন আনা হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১.৪ শতাংশ বেশি। বছরের শেষ ত্রৈমাসে মোবাইল ফোনের আমদানি বেড়ে ১৯.৫ শতাংশ হয়, যা পূর্ববর্তী ত্রৈমাসে ছিল ১৬.২ শতাংশ। এসময়ের মধ্যে মোট ৮৮ লক্ষ স্মার্টফোন দেশে আসে। সরকার গত বছর স্মার্টফোনের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করায় ২০১৯ সালে শেষার্ধে এ খাতে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশ কমে যায়।
সরকার সারা দেশে সিডিইউ (সম্পূর্ণভাবে তৈরি ইউনিট) আমদানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি স্থানীয়দের চাহিদা পূরণে স্থানীয়ভাবে ফোন উৎপাদনে বৈশ্বিক বিক্রেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এর ফলে, স্থানীয় উৎপাদনে একটি বড় রকমের পরিবর্তন দেখা যায়। ২০১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসে বাজারে প্রাপ্য প্রতি চারটি ফোনের তিনটিই স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা, যেখানে বছরের প্রথম ত্রৈমাসে এর পরিমাণ ছিলো মাত্র এক-চতুর্থাংশ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা স্মার্টফোনের সংখ্যা ২০ লাখ, যা আগের বছর ছিলো মাত্র ৭ লাখ। ২০১৮ সালে সরকার নয়টি কোম্পানিকে স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন অ্যাসেম্বল করার অনুমতি দেয়।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে – ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স (স্যামসাং), ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ, কার্লকেয়ার টেকনোলজি বিডি, আলামিন অ্যান্ড ব্রাদার্স, আনিরা ইন্টারন্যাশনাল, ওকে মোবাইল, ট্রান্সশন বাংলাদেশ এবং বেস্ট টাইকুন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ।বাংলাদেশ মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা (বিএমপিএমএ) সূত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক ব্র্যান্ড স্যামসাংয়ের কারখানার ৯৬ শতাংশ পণ্য স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয়।