হট ২০এস আনল ইনফিনিক্স। গেম অন ইনফিনিক্স হট ২০এস এর-সাথে। ১২০ হার্জ আল্ট্রা-স্মুথ এই গেমিং ফোনে আছে হেলিও জি৯৬ চিপসেট এবং ১৩ জিবি এক্সটেন্ডেড র্যাম। এই ফিচার নিয়ে ১৯ হাজারের নিচে এটিই বাজারের একমাত্র ফোন।
বাজারে এলো ইনফিনিক্স মোবাইলের নতুন স্মার্টফোন হট ২০এস। এই ডিভাইসের নানা রকম অপটিমাইজেশনের মধ্যে আছে একটি শক্তিশালী প্রসেসর, উন্নত রিফ্রেশ রেট, হাইপার ভিশন সমৃদ্ধ গেমিং ডিসপ্লে, এক্সটেন্ডেড র্যাম এবং এক্সপ্যান্ডেবল রম।
সাশ্রয়ী মূল্যে ব্যতিক্রমী গেমিং এক্সপেরিয়েন্স, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের সাথে সবার মন জয় করে নিতে চায় হট ২০এস।
হট ২০এস এ মোবাইল গেমিং এক্সপেরিয়েন্স
হট ২০এস-এ আছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬, ৬৪-বিট অক্টা-কোর চিপসেট ফিচারিং দু’টি শক্তিশালী আর্ম করটেক্স-এ৭৬, ছয়টি করটেক্স-এ৫৫ প্রসেসর যা ২.০৫ গিগাহার্জ পর্যন্ত চলতে পারে।
আনটুটু, গিক বেঞ্চ সিঙ্গেল এবং গিক বেঞ্চ মাল্টি-র মতে, বাজারে প্রচলিত অন্য অনেক প্রসেসরের তুলনায় ২৫% বেশি পারফর্ম করে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬। এখন পর্যন্ত ইনফিনিক্স হট মডেলে ব্যবহৃত সেরা চিপসেট হলো হেলিও জি৯৬।
এর ডিজাইন করা হয়েছে মোবাইল গেমিংয়ের কথা মাথায় রেখে
হট ২০এস হ্যান্ডসেটে আপনি পাবেন ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট, বেশি সংবেদনশীলতা, স্বচ্ছন্দ ব্রাউজিং এবং দ্রুত গেমিং কন্ট্রোল। এর চমৎকার ৮৪.৩% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও এবং আল্ট্রা-ন্যারো বেজেল মিলে একটি পরিপূর্ণ ভিজ্যুয়াল এন্টারটেইনমেন্টের অভিজ্ঞতা দেয়।
হট ২০এস-এ আরও আছে ২৪০ হার্জ আল্ট্রা টাচ স্যামপ্লিং রেটসম্বৃদ্ধ আল্ট্রা টাচ মোড। গেমিংয়ের সময় টাচ ইনপুটে স্বচ্ছন্দ ভিজ্যুয়াল ফিডব্যাক প্রদানের ক্ষেত্রে এটি সহায়ক।
আপনার পরিবেশ প্রতিকূল (যেমন সরাসরি সুর্যের আলো পড়া) থাকলেও একটি এআই রেজোলিউশন অ্যালগরিদমের সাথে একীভূত করে ডার্ক রিজিয়ন এনহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে স্ক্রিন কন্ট্র্যাস্ট উন্নত করা যায়।
এই ফোনে আরও আছে ৬.৭৮ ইঞ্চি এফএইচডি+হাইপার ভিশন ডিসপ্লে। হাইপার ভিশন থ্রিডি ডিসপ্লে প্রযুক্তি সর্বোচ্চ রেজোলিউশনসহ অত্যাধুনিক হলোগ্রাফিক ইমেজ তৈরি করে, চমৎকার গেমিং এক্সপেরিয়েন্সের সাথে যা আপনাকে দেয় একটি পরিষ্কার গেমিং স্ক্রিন।
হ্যান্ডসেটটিতে আছে ১৩ জিবি (৮ জিবি+৫ জিবি) এক্সটেন্ডেড র্যাম এবং ১২৮ জিবি রম, যা ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়। অ্যাডভান্সড এক্সটেন্ডেড এলপিডিডিআরফোরএক্স হাই স্পিড র্যাম প্রযুক্তির কারণে হট ২০এস নির্বিঘ্নে ২০টি ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ পরিবর্তন করতে পারে।
এর ৬১% দ্রুত অ্যাপ স্টার্ট আপের কারণে গেমিংয়ের সময় আর স্মার্টফোন ফ্রিজ হবে না। পারফরম্যান্সের পরিপ্রেক্ষিতে, হট ২০এস একটি ত্রিমাত্রিক বায়োনিক কুলিং সিস্টেম গ্রহণ করে যা শ্বাসের প্রকৃতির অনুসরণ করে।
দীর্ঘক্ষণ গেমপ্লে চলাকালীন ফোন গরম হওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে তাপ পরিবাহিতা উন্নতির সাথে স্মার্টফোনটি ঠান্ডা থাকে।
হট ২০এস-এর ডার্ক-লিংক ২.০ শুধু ইমেজের স্থায়িত্ব ও টাচ কন্ট্রোল সংবেদনশীলতাই বাড়ায় না, একইসাথে আরও পাওয়ার-প্যাকড গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য ডিভাইসের তাপমাত্রাও কমায়।
অতুলনীয় ব্যাটারি লাইফ
হট ২০এস-এর ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংয়ের সাহায্যে এর বিশাল ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারিকে খুব দ্রুত চার্জ দেওয়া যায়।
পাওয়ার সেভিং প্রযুক্তি ছাড়াও এই ব্যাটারিতে আছে তিন দিনের ব্যাটারি লাইফ। পাওয়ার ম্যারাথন প্রযুক্তির পাশাপাশি, ১৮ ওয়াট চার্জারটির জন্য টাইপ-সি ফাস্ট চার্জিং কেবল ব্যবহার করে হ্যান্ডসেটটি।
গেমারদের নির্বিঘ্নে সেশন শেষ করতে এটি সাহায্য করে। হট ২০এস-এর ফিচারগুলোর মধ্যে আরও আছে ফুল স্পিড কানেক্টিভিটি এনহ্যান্সমেন্ট গেমিং টার্বো, যার মধ্যে আছে এক্সএরেনা এবং লিংকপ্লাস ১.০। এক্সএরেনা বিভিন্ন গেমিং দৃশ্যপট বা সিনারিওর গ্রাফিক্স ও গতিশীলতা বাড়ায়।
চমকপ্রদ ফটোগ্রাফি এক্সপেরিয়েন্স
৩৯৬ পিক্সেলস পার ইঞ্চির (পিপিআই) সাথে ৫০ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা ইউনিট হট ২০এস-কে অনেক হ্যান্ডসেটের চেয়েই এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।
এই হ্যান্ডসেটে আছে এফ১.৬ অ্যাপারচার, যা মানসম্পন্ন ছবি তুলতে সাহায্য করে। এতে আরও আছে ৫০ মেগাপিক্সেল সুপার নাইটস্কেপ ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল বোকেহ ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল সুপার ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
এসব ফিচার ছবি তোলাকে করে তোলে একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। এর আই-ট্র্যাকিং ফোকাসের কারণে পোর্ট্রেট মোডে ছবি তুললে ছবির বিস্তারিত খুব ভালো বোঝা যায়।
দাম ও প্রাপ্যতা:
হট ২০এস সনিক ব্ল্যাক ও টেম্পো ব্লু এই দু’টি রঙে পাওয়া যাবে মাত্র ১৮,৯৯৯ টাকায়।
এই দামের মধ্যে শুধু হট ২০এস-ই দিচ্ছে এমন পাওয়ার-প্যাকড সব ফিচার। ফিচারগুলোর মধ্যে আছে শক্তিশালী হেলিও জি৯৬ চিপসেট, এফএইচডি+ ডিসপ্লে, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১৩ জিবি পর্যন্ত এক্সপ্যান্ডেবল র্যাম।
আপনার নিকটস্থ দোকানে আর ইনফিনিক্স ব্র্যান্ড শপে হট সিরিজের ফোনগুলো পাওয়া যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দারাজের ১২.১২ ক্যাম্পেইনেও এই ফোনগুলো পাওয়া যাবে।
ইনফিনিক্স:
ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরনের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি।
আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়।
“ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও)” মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়। আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৪০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। বিস্ময়কর গতিতে বিস্তার ঘটছে ইনফিনিক্সের।
২০১৯-২০২১ সালে কোম্পানিটির অভূতপূর্ব ১৫৭% প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। চমকপ্রদ ডিজাইন ও দারুণ মানের ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল ডিভাইস প্রস্তুত করা চালিয়ে যাওয়ার বড় পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে।
আরও জানার জন্য ভিজিট করুন: http://www.infinixmobility.com/