প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান এই বিশ্বে, আমাদের নিজস্ব অনেক ডিজিটাল কনটেন্ট থাকে যেমন: ফটো, মুভি, টিভি শো, গেম, সফটওয়্যার- যা আমরা সবসময় সংরক্ষণ করতে চাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এসব কনটেন্ট পরিমানে বৃদ্ধি পেতে পেতে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক স্পেস সীমিত হয়ে আসে, ফলশ্রুতিতে এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে।
অন্য যেকোনো ইলেকট্রনিক পণ্যের মতো একটি হার্ডডিস্কের, হোক সেটা ইন্টারনাল বা এক্সটারনাল- নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে ব্যবহারের। কম্পিউটারের ইন্টারনাল হার্ডডিস্কের মেয়াদ সাধারণত গড়ে ৫ থেকে ১০ বছর হয়ে থাকে আর এক্সটার্নাল হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে তা ৩ থেকে ৫ বছর হয়ে থাকে; তাপমাত্রা, আদ্রতা বা অন্যান্য বাহিক্য পরিপ্রেক্ষিত ব্যতীত।
বর্তমান সময়ে এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক বেশ প্রচলিত, পোর্টেবল হওয়ায় যখন তখন যেহেতু নিয়মিত ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাই এই হার্ডডিস্কের মেয়াদ আরো কমতে পারে।
যা হোক, হার্ড ড্রাইভ বা হার্ডডিস্ক যদি ধীরে ধীরে নষ্ট হতে থাকার ৪টি লক্ষণ এখানে তুলে ধরা হলো। এসব লক্ষণ দেখলে আপনার মূল্যবান ডেটাগুলো সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।
- হার্ডডিস্ক নষ্ট হতে যাওয়ার অনেকগুলো সম্ভাব্য লক্ষণের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে পড়া, বার বার হ্যাং করা কিংবা কম্পিউটার চালুর পর নীল স্ক্রিনে সতর্কবাতা পাওয়া। এই লক্ষণ সবসময় যে কেবল হার্ডডিস্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে হবে তা নয়, অন্য কারণেও হতে পারে। কিন্তু নতুন ইনস্টলেশন বা উইন্ডোজ সেফ মোডেও যদি আপনি এই লক্ষণ দেখতে পান তাহলে নিশ্চিতভাবে তা হার্ডডিস্ক সমস্যার ইঙ্গিত।
- হার্ডডিস্ক নষ্ট হতে যাওয়ার সঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু সম্ভাব্য আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে, কোনো ঝামেলা ছাড়া ফাইল সেভ করা হলেও, ফাইল ওপেন করতে না পারা কিংবা ফাইল করাপ্ট হয়ে যাওয়া অথবা ফাইল উধাও হয়ে যাওয়া।
- প্রচুর ব্যাড সেক্টর থাকা হার্ডডিস্ক ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আরেকটি ইঙ্গিত। হার্ডডিস্কের সেক্টরগুলোতে অপারেটিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাড সেক্টর চেক করে। কিন্তু ডিস্ক বেশি ব্যবহৃত থাকলে, ব্যাড সেক্টর শনাক্ত কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি চাইলে ম্যানুয়ালি ব্যাড সেক্টর চেক করতে পারেন।
- হার্ডডিস্ক থেকে যদি অদ্ভুত ধরনের সাউন্ডের পুনরাবৃত্তি হতে থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার মতো ঘটনায় আমরা সাধারণত পূর্ব প্রস্তুত থাকি না। তাই গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হারানো এড়াতে আগেভাগেই অন্য একটি হার্ডডিস্কে ডেটা ব্যাকআপ রাখা উচিত। কারণ একসঙ্গে একাধিক হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়া গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভের মতো ক্লাউড স্টোরেজেও ডেটা ব্যাকআপ রাখতে পারেন।
তথ্যসূত্র : গ্যাজেটস নাউ