চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কর্মীদের মধ্যে এখন খুশির সুবাতাস বইছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কর্মীদের ব্যাপক বোনাস দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্তির মতো বড় বাধা থেকে বেরিয়ে আসতে কর্মীদের প্রচেষ্টার জন্য প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি নগদ অর্থ বোনাস দেওয়ার ঘোষণা এসেছে।
চলতি বছরের মে মাসে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম যন্ত্রাংশ নির্মাতার বিরুদ্ধে গোপন নজরদারির অভিযোগ তুলে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। মিত্র দেশগুলোকে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ না নিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করে। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্তির পর থেকে তারা দেশটির হার্ডওয়্যার নির্মাতাদের বদলে বিকল্প উৎসের সন্ধান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিধিনিষেধ তাদের যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বোনাস ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, হুয়াওয়ের এক লাখ ৯০ হাজার কর্মী চলতি মাসে দ্বিগুণ বেতন পাবেন।
হুয়াওয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, হুয়াওয়ে ঘোষিত বোনাসের বেশির ভাগই পাচ্ছেন গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ এবং যারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অন্যান্য সাপ্লাই চেইন নিয়ে কাজ করছেন।
বোনাসের ঘোষণার তথ্য গতকাল মঙ্গলবার প্রথম প্রকাশ করেসাউথ চায়না মর্নিং।
ওয়াশিংটন মনে করে, চীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হুয়াওয়ে। তাই তাদের যন্ত্রপাতি বিশেষ করে ৫-জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশগুলো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে চীন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা হুয়াওয়ে। স্মার্টফোন বাজারে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে গত প্রান্তিকে ২৭ শতাংশ বাড়তি মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।