দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র দ্বিতীয় দিনে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আর এর মূল আকর্ষণে মেলার টাইটেনিয়াম সহযোগি হুয়াওয়ের ৫-জি প্রদর্শন।
গতকাল মেলায় প্রথম দিনেও বিপুল দর্শক সমাগত দেখা গেছে হুয়াওয়ের প্যাভেলিয়নে। ছুটির দিন হওয়ায় আজ তাদের সংখ্যা আরো বেড়েছে। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে সব বয়সীরাই আছেন। তবে তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নানা বয়সী শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসে বিনামূল্যে ৫–জি পরীক্ষা করছে। রিয়েল টাইমে ৫–জি’র বিস্মকর গতিতে তারা মুগ্ধ এবং উচ্ছ্বসিত।
৫-জি’র অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনিম মিতু বলেন, “অবিশ্বাস্য! আমি তো রীতিমত মুগ্ধ।” রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান রাফি বলেন, “এক কথায় বলতে গেলে, ৫-জি’র স্পিড দেখে আমি বিস্মিত এবং চরম শিহরিত। ইন্টারনেটে এমন স্পিড যে পাওয়া যেতে পারে, সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি বিশ্বাসই করতে পারতাম না।”
দর্শনার্থীরা আজ ৫-জি ব্যবহারে সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ৫-জি’র উন্নয়ন ও গবেষণায় হুয়াওয়ের দীর্ঘ দিনের অবিরাম প্রচেষ্টার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। ৫জি’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় গত ১০ বছর কাজ করছে হুয়াওয়ে আর এর মধ্যেই এজন্য ব্যয় করেছে চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার।৫-জি’র অভিজ্ঞতা নেয়া ছাড়াও দর্শনার্থীরা রিয়েল টাইম ভিআর উপভোগ করছেন। ৫-জি ভিআর চোখে পরার সাথে সাথেই তারা নিজেদেরকে আবিষ্কার করছেন বরফের উপর স্কিইরত অবস্থায়।
হুয়াওয়ে প্যাভেলিয়নে শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, ‘হিউম্যানয়েড রোবট’। বিশেষভাবে নির্মিত রোবটটিকে যে কেউ নিজ হাতের ইশারায় ফুটবল খেলাতে পারে।হাতের ইশারায় রোবটটিকে খেলাতে পেরে ভীষণ উচ্ছ্বসিত শিশুশ্রেণি পড়ুয়া এরিক আহসান। তার বাবা এনামুল আহসান বলেন, “রোবট ওর ভীষণ পছন্দের। তাই এ ধরণের একটি আয়োজনের করা হয়েছে শুনে ওকে নিয়ে আসলাম। ও ভীষণ উপভোগ করছে। বিনামূল্যে এ রকম চমৎকার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ায় হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ।”
উন্নত প্রযুক্তি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান। মেলায় হুয়াওয়ের ৫জি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি বাজারে বর্তমান হুয়াওয়ের ফোনগুলোও কিনতে পারছেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে কেন্দ্র শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এই মেলা চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত।
হুয়াওয়ে সম্পর্কে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ে আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরএন্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন হুয়াওয়ের ওয়েবসাইট www.huawei.com এবং যুক্ত থাকুন আমাদের ফেইসবুক পেইজে https://www.facebook.com/HuaweiTechBD/