বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এ.আই স্ট্র্যাটেজি এবং সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য এ.আই পোর্টফোলিও উন্মোচন করেছে। গতকাল চীনের সাংহাইয়ে ওয়ার্ল্ড এক্সপো এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত তৃতীয় বার্ষিক ‘হুয়াওয়েকানেক্ট’ অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিকঝু এ ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অ্যাক্টিভেট ইনটেলিজেন্স’, যেখানে এ.আই এবং এর চ্যালেঞ্জ, সুবিধা, উদ্ভাবন এবং ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
হুয়াওয়ের ফুল স্ট্যাকএ.আই পোর্টফোলিওর মধ্যে রয়েছে-চিপ,চিপ সক্রিয়করণ, প্রশিক্ষণ কাঠামো এবং অ্যাপ সক্রিয় করণ। আর ‘অলসিনারিও’ বলতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগকে বোঝায়। এর মধ্যে থাকবে- পাবলিক ক্লাউড, প্রাইভেট ক্লাউড, এজ কম্পিউটিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটি ডিভাইস এবং কনজ্যুমার ডিভাইস। ফুল স্ট্যাক এ.আই পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে হুয়াওয়ে শিল্প ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে এবং সংযুক্ত ও বুদ্ধি বৃত্তিক বিশ্ব গড়তে চায়।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিকঝু বলেন, ‘হুয়াওয়ের এ.আই স্ট্র্যাটেজি হলো মৌলিক গবেষণা ও মেধার উন্নয়নে বিনিয়োগ করা, একটি পরিপূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ ক্ষেত্র গঠন এবংএকটি বৈশ্বিক ইকোসিস্টেম গড়ার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করা।’ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘হুয়াওয়েতে আমরা সব সময়ই এ.আই ব্যবহার করে ম্যানেজমেন্টের উন্নয়ন ও দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টাকরি। এছাড়া টেলিকম সেক্টরের নেটওয়ার্ক বাড়াতে আমরা ইতোমধ্যে ঝড়ভঃঈঙগ অও ব্যবহার করেছি।
কনজ্যুমার মার্কেটে ঐ সত্যিকারের বুদ্ধি বৃত্তিক কনজ্যুমার সার্ভিস চালু করেছে এবং তাদের আগের চেয়ে স্মার্ট করেছে। হুয়াওয়েরই আই পাবলিক ক্লাউড সার্ভিস এবং ফিউশন মাইন্ড প্রাইভেট ক্লাউড সল্যুশন গুলো সব প্রতিষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত ও সাশ্রয়ী মূল্যে কম্পিউটিং সুবিধা দেবে, বিশেষ করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে। এছাড়া এসব সল্যুশন তাদের বৃহৎপরিসরে এ.আই ব্যবহার করতে সহায়তা করবে। হুয়াওয়ের পোর্টফোলিওতে একটি এ.আই অ্যাক্সেলারেশন কার্ড, এ.আই সার্ভার, এ.আই অ্যাপ্লিয়েন্স এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে।’
ভবিষ্যতের ১০টি পরিবর্তন নেতৃত্ব দেবে হুয়াওয়ের এ.আই স্ট্র্যাটেজি:
হুয়াওয়ে মনে করে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে আরও ৪০ বিলিয়নের বেশি ব্যক্তিগত স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকরা হবে, যার ৯০ শতাংশ ডিভাইসই ব্যবহারকারীদের স্মার্ট ডিজিটাল অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে ব্যবহার করবে। ডেটা ব্যবহার হবে ৮৬ শতাংশ এবং এ.আই সার্ভিস সহজ লভ্য হবে। হুয়াওয়ে মনে করে, ১০টি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে, যা সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেবে।
১. দ্রুততর মডেল ট্রেইনিং
২. পর্যাপ্ত ও সাশ্রয়ী কম্পিউটিং পাওয়ার
৩. এ.আই প্রয়োগ ও ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা
৪. নতুন অ্যালগরিদম ৫. এ.আই অটোমেশন
৬. প্রাকটিক্যাল অ্যাপ্লিকেশন
৭. রিয়েল টাইম ও ক্লোজড লুপ সিস্টেম
৮. মাল্টি-টেক সিনারজি
৯. প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট
১০. মেধার সহজ লভ্যতা
হুয়াওয়ের এ.আই স্ট্র্যাটেজিতে যে বিষয় গুলোতে বেশি জোর দেয় এ.আই গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়ানো, ফুল স্ট্যাকএ.আই পোর্টফোলিও, উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম ও মেধার উন্নয়ন, বিদ্যমান পোর্টফোলিও শক্তিশালী করা এবং হুয়াওয়ের পরিচালন দক্ষতা বাড়ানো।
প্রসঙ্গত, হুয়াওয়ে কানেক্ট-২০১৮ আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এ বছরে হুয়াওয়ে কানেক্ট অনুষ্ঠানটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে যেখানে উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বুদ্ধি বৃত্তিক বিশ্বে পদার্পন করতে সাহায্য করা হবে।