মানুষের হৃৎস্পন্দন কি দূর থেকে মাপা সম্ভব? আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক অসাধ্যই সাধন হচ্ছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এমনই এক ড্রোন বা চালকবিহীন ছোট উড়ুক্কু যান তৈরি করেছেন, যা দূর থেকে মানুষের হৃৎস্পন্দন মাপতে সক্ষম হবে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষক জাভান চাহালের নেতৃত্বে একদল গবেষক সম্প্রতি ওই ড্রোনটি প্রদর্শন করেন। তাঁদের দাবি, ড্রোনটি ৬০ মিটার দূর থেকে মানুষের হৃৎস্পন্দন মাপতে সক্ষম। এতে বিভিন্ন মানবিক বিপর্যয়ের সময় এটি কাজে লাগানো যাবে। বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ড্রোনটিতে ক্যামেরা রয়েছে, যার মাধ্যমে হৃৎস্পন্দনের খুঁটিনাটি নির্ধারণ করা যাবে। গবেষক চাহাল জানান, উদ্ভাবিত নতুন ড্রোনটি কোনো বিপর্যয়ের সময় কাজে লাগানো যাবে। সাধারণত বিপর্যয়ের সময় ড্রোনটি কাজে লাগিয়ে আহত মানুষের পরিস্থিতি জানা যাবে। এতে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে তাতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি হৃৎস্পন্দন মাপা যাবে। এটি ব্যবহার করে একদিনে এক লাখ মানুষের হৃৎস্পন্দন জানা সম্ভব। অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ) এ গবেষণায় সাহায্য করেছে।
তবে, এ ড্রোনটির নেতিবাচক দিক সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন গবেষক চাহাল। এটি চাইলে গোয়েন্দাগিরি এমনকি অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া এ ধরনের ড্রোনের তথ্য দুর্বৃত্তদের হাতে গেলে সর্বনাশ ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
হৃদয়ের খবর জানার যন্ত্র এসে গেছে
previous post