তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন সময় এবং
খরচ কমিয়ে হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের
কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে
মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেট সংযোগ, ই-গভর্নেন্স, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত
গড়ে তোলা এ চারটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর দেশকে দাড় করানো হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর এক হোটেলে ভিয়েতনাম এ্যন্বাসি ও বেটার বাংলাদেশ
ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত "ডিজিটাল বাংলাদেশ: ভিয়েতনাম ও
বাংলাদেশের অপরসোনিটি ও চ্যালেঞ্জেস" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির
বক্তৃতা করছিলেন।
পলক বলেন বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা
করতে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইসতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার
গ্রাম আমার শহর, তারুণ্যের শক্তি এবং সুশাসন এই তিনটি বাতিঘরের মাধ্যমে
কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। শহরের সকল সুবিধা গ্রামে পৌছে দেয়া,
তারুণ্যের শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে সরকার
বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিগত ১০
বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন দেশের প্রায়
৪ হাজার ইউনিয়নে হাইস্পিড ইন্টারনেট সংযোগ পৌছে গেছে। এর মাধ্যমে গ্রামে
বসেই জনগণ শহরের সুবিধা পাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন সরকার দেশের আইসিটি খাতের যথাযথ বিকাশে ২৮টি হাই-টেক
পার্ক প্রতিষ্ঠা করছে। ইতিমধ্যে ৩টি হাইটেক পার্কের অপারেশনাল কার্যক্রম
শুরু হয়েছে। সরকার হাইটেক পার্কের বিনিয়োগকারীদের কর মওকফসহ বিভিন্ন
সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বিভিন্ন দেশি বিদেশি কোম্পানি এসব হাইটেক পার্কে
শিল্প স্থাপন করেছে। তিনি ভিয়েতনামের কোম্পানিসমূহকে জয়েন্ট কোলাবরেশন বা
এককভাবে বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগের আহবান জানান।
বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি অধ্যাপক মাসুদ এ খানের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ন্যশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট
অথরেটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের
রাষ্ট্রদূত ট্রান ভ্যান খোয়া, বেসিস এর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমাস কবির,
ভিয়েতনাম সফ্টওয়্যার কোম্পানির চেয়ারম্যান সোয়ান ন্যায় তিয়েন।