বছরের প্রথম মাসেই জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত চমকপ্রদ কয়েকটি ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হলো-বছরের শুরুতেই পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে রক্তবর্ণের চাঁদ, যা এক ধরনের সুপারমুন। আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের কাছে এটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ বলে পরিচিত। ওই পূর্ণিমায় চাঁদের আলোয় পৃথিবী এতটাই ভেসে যায় যে নেকড়েরা ডেরা থেকে বেরিয়ে ডাকতে শুরু করে।২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে ‘নেকড়ে চাঁদ’।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্য মতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপারমুন দেখা দেয়। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, গত তিন বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ২১ জানুয়ারি। তাই দেশটির বাসিন্দাদের জন্য এই দিনটা হতে যাচ্ছে অন্যরকম আনন্দের। তারা চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে বড় এবং উজ্জ্বল দেখতে পাবে। এর রং কিছুটা লালচে হওয়ার কারণে চেহারায়ও কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাবে।
ইস্টার্ন টাইম রাত ১২ টা ১২ মিনিটে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা ছাড়াও আফ্রিকা ও ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চল থেকে এই ‘নেকড়ে চাঁদ’ দেখা যাবে। এর বাইরে জ্যোতির্বিজ্ঞানে আরো কিছু ঘটনা ঘটবে। ৬ মে পৃথিবীর কোনো কোনো অংশ থেকে উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। এছাড়া ২ জুলাই পূর্ণ সূর্য গ্রহণ হবে। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার লোকজন পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ পাবেন এবার। ইস্টার্ন টাইম দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট থেকে বিকাল ৫ টা ৫০ পর্যন্ত অঞ্চল ভেদে গ্রহণ শুরু ও শেষ হবে। এর বাইরে ১৬ জুলাই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হবে। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্র বাদে বাকি অঞ্চলগুলো থেকে দেখা যাবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
১ comment
[…] সালের ২৬ জুন দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সর্বশেষ, গত বছরের ২৭জুলাই […]