আগামী বছরগুলোতে সেন্সর প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাবে বহুগুণে। সেইসাথে জনপ্রিয়তা পাবে আইওটি, মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্বিমত্তার মত প্রযুক্তিগুলো। যা পাল্টে দেবে আমাদের জীবনযাত্রা। আর এর সুফল পেতে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি, আইওটি প্রযুক্তিভিত্তিক ডিভাইস, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং অর্থ সহায়তা।সফটএক্সপো ২০১৮ আসরের দ্বিতীয় দিনে আয়োজিত ‘আইওটি-চেঞ্জিং লাইফ স্টাইল অ্যাপ্লিকেশন ইন এনার্জি অ্যান্ড আদার ইউটিলিটি সার্ভিসেস’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব তৌফিক-ই-এলাহি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মো. হোসাইন। মূল বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল বিশ^বিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সৈয়দ আকতার হোসেইন এবং ডাটাসফট’র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর সামিআল ইসলাম।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সৈয়দ আকতার হোসেইন বলেন, আইওটি মূলত একটি ডাটা অ্যানালাইটিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রমকে আরো সহজ ও গতিশীল করে। আইওটি দ্বারানিয়ন্ত্রিত হচ্ছে আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত প্রযুক্তি সেবাপণ্য এবং মাথাপিছু ব্যয় কমিয়ে সাহায্য করবে ব্যবসা র্কাযক্রমকে। সেইসাথে সেন্সর প্রযুক্তিই নেতৃত্ব দেবে আগামী দিনের প্রযুক্তির উন্নয়নকে। আইওটি সেবার ফলপ্রসু ব্যবহারে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের সহজলভ্যতা,সঠিক নীতিনির্ধারণ এবং গণসচেতনতা সেইসাথে মেধাবী তরুণ সমাজের সম্পৃক্ততা।
ডাটাসফটের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর সামিআল ইসলাম বলেন, আইওটির বাজার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২০ সালে এই প্রবৃদ্ধির হার ৩৮.৩% হবে। এ বাজার ২৬৭ বিলিয়নে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে এনার্জি ম্যানেজমেন্ট, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট সিটি, সোলার প্যানেল,সাপোর্ট পেভমেন্ট, স্মার্ট ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, ইলেকট্রনিক কার, সেইফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ে আইওটির ব্যবহারে এসেছে সফলতা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ ও এনার্জি ম্যানেজমেন্টে আইওটির ব্যবহারে এগিয়ে এসেছে ডেসা। এছাড়াও কৃষি খাতে আইওটির ব্যবহার এনেছে সফলতা।
ইউল্যাবের অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আমাদের তরুণরা মেধাবী, আইওটি সেবাপণ্য বিদেশ থেকে না এনে তাদেরকে দিয়েই বানানোর উদ্যোগ নিতে হবে। হয়তো সময় লাগবে তবে আমাদের তরুণরা পারবে। এবিষয়ে প্রয়োজন গবেষণা এবং গবেষণাব্ধ ফলাফলের প্রয়োগে প্রয়োজন বিনিয়োগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক ই এলাহি বলেন, পরিকল্পিত গবেষণা প্রকল্পে আমরা ফান্ড দিতে আগ্রহী তবে তা যেন লক্ষ্যহীন না হয়। শুধু গবেষণা নয়, বরং পণ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে মাকেটিং পর্যন্ত আমরা সহযোগিতা করতে আগ্রহী ।
এছাড়াও বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিকোর পরিচালক ও সিওও মো. সাখাওয়াত সোবহান, লিডস সফটের সিটিও পাপিয়াস হাওদার। সেমিনার পরিচালনায় ছিলেন সিএসিটিএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম। সফটএক্সপোর দ্বিতীয় দিনে ফেসবুক মার্কেটিং, হ্যাকএক্সপো: প্লেইং উইথ ম্যালওয়্যার, ইনফরমেশন সিকিউরিটি কনফারেন্স, সাসটেইনেবল ই-গভ: প্রোসপেক্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস,আউটসোর্সিং কনফারেন্সসহ মোট ১২টি সেশন ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।