আগে স্থগিত হওয়া নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নতুন করে (এইও-টেলর)’ পদে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ৫৩৬টি শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগসংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.erecruitment.bb.org.bb) থেকে, ৪ আগস্ট ২০১৯ তারিখের মধ্যে। প্রার্থীদের স্নাতক (সম্মান)/স্নাতকোত্তর পাসের ফলাফল প্রকাশের তারিখ অবশ্যই ২৪ মে ২০১৬ তারিখের মধ্যে হতে হবে। আবেদন করার সময় ফরম পূরণের নিয়ম ও অন্য শর্তাবলি ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করার পর পাওয়া ট্র্যাকিং নম্বরসংবলিত ফরমটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থী হলে দেশীয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত সমমান সার্টিফিকেট এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হলে দেশীয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়/বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে ইস্যুকৃত সমমান সার্টিফিকেট অনুযায়ী ডিগ্রি ও ফলাফলের (শ্রেণি/বিভাগ/জিপিএ/সিজিপিএ উল্লেখসহ) তথ্য প্রদান করতে হবে।
কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণির (সমমানের সিজিপিএ) চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর (সমমানের) ডিগ্রি থাকতে হবে। একাডেমিক পরীক্ষায় কোনো তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ/জিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না। এ পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য কম্পিউটার চালনায় ধারণা থাকতে হবে।
প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে কোনো কাগজপত্র পাঠাতে হবে না। লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের পর উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাদি ও সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি আহ্বান করা হবে। দাখিলকৃত দলিলাদির সঠিকতা যাচাই সাপেক্ষে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।
চাকরিরত প্রার্থীরা তাঁদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদনক্রমে আবেদন করতে পারবেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দলিলাদি দাখিলের সময় তাঁদের নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। অসম্পূর্ণ/ভুল তথ্যসংবলিত দরখাস্ত কোনো প্রকার যোগাযোগ ছাড়াই বাতিল করা হবে।
প্রার্থীদের বাছাই পরীক্ষা হবে তিনটি ধাপে—এমসিকিউ পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও সর্বশেষ ভাইভা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় এমসিকিউ পদ্ধতিতে। বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণে ১৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে। ইংলিশ থেকে ২০ আর গণিত থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন করা হয় ৩০ নম্বরের। আর কম্পিউটার ও তথ্য-প্রযুক্তি থেকে প্রশ্ন করা হয় ১৫ নম্বরের ওপর। সব বিষয় মিলে ৮০টি প্রশ্ন থাকে। তার জন্য নম্বর বরাদ্দ থাকে ১০০। তারপর লিখিত পরীক্ষা হবে তিনটি বিষয়ের ওপর সর্বমোট ২০০ নম্বরের। বাংলা, ইংলিশ ও গণিত থেকে প্রশ্ন করা হবে। বাংলায় সমসাময়িক বিষয়ের ওপর একটি রচনা লিখতে আসে। এতে ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন লিখতে আসে। সেখানে নম্বর থাকে ২০। ইংলিশের ক্ষেত্রে ফোকাস রাইটিং বা রচনা লেখার জন্য ৩০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। একটি প্যাসেজ দেওয়া থাকে। সেখান থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এর জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। অন্যদিকে বাংলা থেকে ইংলিশ অনুবাদে ২০ নম্বর। আবার ইংলিশ থেকে বাংলা অনুবাদে ২০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। আর গণিতের জন্য ৭০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। মাঝেমধ্যে অন্যান্য বিষয় থেকে নম্বর কমিয়ে গণিতের জন্য ৮০-৯০ নম্বরের প্রশ্ন হতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে প্রার্থীদের সর্বশেষ মৌখিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নম্বর বরাদ্দ থাকে ২৫।