জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা ২০১৮ মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার মাধ্যমে ই-কমার্স খাতের অগ্রযাত্রায় নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হল। ই-ক্যাব এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ই-ক্যাবের সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বহুল আকাঙিক্ষত ’ ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয় অনুমোদন প্রদান করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাত এর নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তিভূমি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে বহুলাংশে এগিয়ে গেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক ভিশন ২০২১ এর ব্যাপক সম্প্রসারণ, প্রান্তিক পর্যায় সহ সারা বাংলাদেশকে প্রযুক্তি সুবিধার আওতাভুক্ত করা ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তৃতি, সারাদেশে রপ্তানীমুখী নতুন শিল্পায়ন, অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আস্থাশীল ই-কমার্স বান্ধব পরিবেশ তৈরী এবং গতিশীল বাণিজ্যিক ব্যবস্থা রূপায়নে এ নীতিমালা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও সকল সদস্য এবং ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষ হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারকে আন্তরিক ধণ্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
জুন ২০১৫-তে যাত্রা শুরু করার পর থেকে ই-ক্যাব একটি যুগোপযোগি জাতীয় ই-কমার্স নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা সরকারের নিকট তুলে ধরে। অতঃপর তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমদ পলক এর দিক-নির্দেশনায় ই-ক্যাব জাতীয় ই-কমার্স নীতিমালা এর প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে, উক্ত খসড়া নীতিমালার বিষয়বস্তু উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাব এর যৌথ উদ্যোগে দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে অক্টোবর ২০১৬-তে ঢাকায় একটি পলিসি ডায়ালগ এর আয়োজন করা হয়। এছাড়া, বেসিস, বাক্য সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ হতে উক্ত খসড়া নীতিমালা বিষয়ে মতামত গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে, সংশ্লিষ্ট সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী, ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও সংস্থা হতে অধিকতর মতামত সন্নিবেশন/বিয়োজন/পরিমার্জন সাপেক্ষে খসড়া নীতিমালাটি চ‚ড়ান্ত করা হয়। এ নীতিমালা সফলকরণে বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার, প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ যাঁরা যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সকলের প্রতি ই-ক্যাব আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে।
নতুন ই-কমার্স ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা তৈরী এবং গ্রামীন ও মফস্বল এলাকা সহ সারাদেশের শিক্ষিত/স্বল্পশিক্ষিত/নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে তাদের জন্য স্বচ্ছল জীবন-যাপন এর সুযোগ সৃষ্টি এবং রাজধানী সহ কতিপয় শহর নির্ভর কর্মসংস্থান ব্যবস্থায় বর্ধিষ্ণু চাপ হ্রাসকরণে ই-কমার্স অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। ই-কমার্স বিষয়ক অপরাধ দমন ও বিচার নিশ্চিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হওয়ায় ই-কমার্স বান্ধব আস্থাশীল পরিবেশ সৃষ্টি সহজতর হবে এবং এ খাতের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বেগবান হবে। পাশাপাশি, সরকারের ভিশন-২০২১ঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অধিকতর বেগবান হবে এবং সারা দেশে রপ্তানীযোগ্য বহুমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সারাদেশে অধিকতর বিস্তৃত হবে।