দ্বিতীয় দফায় ৯৩ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ পেয়েছে স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি। ইসির সিদ্ধান্ত ছিল, ২০১২ সালের পরে ভোটার হওয়া ৯৩ লাখ ভোটারকে স্মার্টকার্ডের পরিবর্তে আপাতত কাগজে প্রিন্ট ও ল্যামিনেট করা জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এ জন্য তারা স্মার্ট টেকনোলজিসকে দায়িত্ব দেয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কার্ড ছাপার কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ে কার্ড ছাপার কাজ শেষ করতে পারেনি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসে কাজ শেষ হলেও ইসি তদন্ত করে জানতে পারে, ছাপা হওয়া কার্ড অত্যন্ত নিম্নমানের। তাই তারা কাগজে প্রিন্ট করা মানহীন ৯৩ লাখ জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেনি ।
দরপত্রে সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকিয়ে (প্রায় ৯ কোটি টাকা) প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। মানহীন কার্ড তৈরির জন্য ইসি প্রতিষ্ঠানটির জামানতের টাকার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ জরিমানা হিসেবে কেটে নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
জানা যায়, মূলত স্মার্ট টেকনোলজিসের নাম ব্যবহার করে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা কার্ড ছাপার কাজ করেছেন। এসব কার্ড যথাযথ প্রিন্টারে না ছেপে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন গলিতে স্থাপিত কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে ছাপা হয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১৯ জুন প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে ছাপা এনআইডি নিম্নমানের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর ইসি মানহীন কার্ড গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্মার্ট টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে।
১৫ জুলাই স্মার্ট টেকনোলজিসের সঙ্গে ইসির নতুন করে চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে তারা ৯৩ লাখ কার্ড নতুন করে ছেপে দেবে।
ছাপা হওয়া মানহীন ৯৩ লাখ কার্ড ইসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। এবারের কাজে স্মার্ট টেকনোলজিসের ৬০ জন দক্ষ কর্মী ইসিতে নিয়মিত উপস্থিত থেকে কাজ তদারকি করবেন।