বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ২০ বছর পার করেছে। ১৯৯৮ সালে কোম্পানিটি বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে হুয়াওয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি প্রদর্শনে ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং সরকারের ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নে অংশীদার হতে একনিষ্ঠভাবে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি।
হুয়াওয়ে স্থানীয় দক্ষ জনবলের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে। এ জন্য বাংলাদেশে হুয়াওয়ের কর্মীদের ৮৫ শতাংশই বাংলাদেশি। এছাড়া বাংলাদেশে ভালো মানের সেবা দিতে ঢাকাকেন্দ্রিক হুয়াওয়ের সাতটি অফিস, ১৪টি টার্মিনাল সার্ভিস সেন্টার (কনজ্যুমার বিজনেস) এবং ৩৫০টির বেশি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শপ আছে। উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ তাদের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে বেছে নিয়েছে।
এছাড়াও বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী, ৩৬টি যৌথ উদ্ভাবনী কেন্দ্র এবং ১৪টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র (আর অ্যান্ড ডি সেন্টার) আছে হুয়াওয়ের। হুয়াওয়ে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে হুয়াওয়ের বার্ষিক আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২.৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং ফরচুনের ৫০০ গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানের তালিকায় হুয়াওয়ের অবস্থান ৭২তম, যা গত বছর ছিল ৮৩তম। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজেও হুয়াওয়ে সবচেয়ে বেশি (বার্ষিক রাজস্বের প্রায় ১০ শতাংশ) বিনিয়োগ করে থাকে। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে।এছাড়াও হুয়াওয়ে ৭৪,৩০৭টি পেটেন্টের মালিক এবং৩৬০টিরও বেশি স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠান, ব্যাবসায়িক জোট ও ওপেন সোর্সের সদস্য।
বাংলাদেশে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের (৩জি ও ফোরজি) নেটওয়ার্ক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ব্যাপক অবদান রেখেছে। এছাড়াও কোম্পানিটি দেশে ফাইভ জি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ফাইভ জি ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে। চলতি বছরের ২৫ জুলাই হুয়াওয়ে ও একটি টেলিকম অপারেটরের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ জি প্রদর্শন করে। ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। অনুষ্ঠানে তিনি দেশে ফাইভ জি প্রদর্শনে প্রযুক্তি দিয়ে সহায়তা করায় হুয়াওয়ের প্রশংসা করেন।