দক্ষ সাইবার নিরাপত্তা কর্মী খুঁজে বের করতে অ্যাডভান্স টেকনোলজি বিডি’র আয়োজনে দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ‘সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৮’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা। আজ ২ ডিসেম্বর রোববার রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বেসিস-এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এলআইসিটি-এর প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম, বিডিওএসএন এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, আইএসপিএবি এর যুগ্ম-সম্পাদক মইন উদ্দিন আহমেদ, পাঠাওয়ের লিড মার্কেটিং ম্যানেজার সৈয়দা নাবিলা মাহবুব, আইপে সিস্টেমস লিমিটেড-এর হেড অব মার্কেটিং মোঃ মুনতাসির, রিভ এন্টিভাইরাসের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার ইবনুল করিম রূপেন এবং সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আহবায়ক ও সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান শাওন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনের পর ‘সাইবার সিকিউরিটি ফর স্টুডেন্ট’ বিষয়ে সচেতনাতমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পুরো অনুষ্ঠানটি লাইভ সম্প্রচার করে ঢাকালাইভ।
‘বি দ্য আলটিমেট সিকিউরিটি এক্সপার্ট’ স্লোগানে প্রতিযোগিতার পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও। এছাড়া কো-স্পন্সর হিসেবে রয়েছে আইপে, এসসিএসএল ও মেট্রোনেট। আর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বেসিস, আইএসপিএবি, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। প্রতিযোগিতার মিডিয়া সহযোগী কনসিটো পিআর। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্ব ও গ্রুমিং সেশন লাইভ সম্প্রচার করবে ঢাকালাইভ।
সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৮ প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক আব্দুর রহমান শাওন জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতায় দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩ জন করে দল গঠনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাবে। সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজিত হবে। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইন ভিত্তিক বাছাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ দলগুলো আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
বেসিস-এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “শ্রম ভিত্তিক থেকে আমাদের মেধা ভিত্তিক জনবল তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের অংশ হিসেবে মেশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তি ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় বিশ্বজুড়ে সাইবার সিকিউিরিট স্পেশালিস্টদের চাহিদা বাড়ছে। এরকম একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে যেমন দক্ষ নিরাপত্তা কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে। তেমনি সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে তরুণদের মাঝে সচেতনতাও তৈরি হবে”।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এলআইসিটি-এর প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, “আমরা বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বাস করছি এবং তা আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সাইবার ঝুঁকি ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার ক্ষেত্রে সময়োপযোগী এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে”।
উদ্বোধনী পর্বের পরে শুরু হয় সাইবার সিকিউরিটি ফর স্টুডেন্ট বিষয়ে সচেতনতা মূলক কর্মশালা। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন রিভ এন্টিভাইরাসের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার ইবনুল করীম রূপেন এবং সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট তামজীদ রহমনা লিও।কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাৎক্ষণিক কুইজে অংশ নিয়ে পুরস্কার জেতেন। পাশাপাশি সকল অংশগ্রহণকারীকে বিনামূল্যে এক বছরের জন্য রিভ এন্টিভাইরাস দেওয়া হয়।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেকের জন্য ল্যাপটপ, প্রথম রানার্স আপ দলের জন্য স্মার্টফোন এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ দলের জন্য পুস্কার হিসেবে ট্যাবলেট পিসি দেওয়া হবে। পাশাপাশি থাকবে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেওয়া হবে। বিজয়ী নারী দলের জন্য থাকবে বিশেষ সম্মননা। এছাড়া বিজয়ী দলগুলোর সদস্যরা দেশের শীর্ষ আইটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করার সুযোগ পাবে। দেশের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নিবন্ধন করবেন যেভাবে:
প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানতে http://cyberchallenge.com.bd ঠিকানায় যেতে হবে। নিবন্ধন করা যাবে https://cyberchallenge.com.bd/registration ঠিকানায়। বিস্তারিত ফেসবুক পেজ www.facebook.com/CyberSChallenge ঠিকানাতেও পাওয়া যাবে।