ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে নেতৃত্বে হাত ধরে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে তার মূল্যায়ন আমরা করতে পারিনি। তিনি বলেন জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এটি আধুনিকতম সংস্করণ হচ্ছে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। পাকিস্তানিরা বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন এর কারণ হচ্ছে পাকিস্তান মৌলবাদকে প্রাধান্য দিয়েছে আর বাংলাদেশ সক্ষমতার সাথে মোকাবেলা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম ও অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। আমরা ডিজিটাল হওয়ার দিকে গুরুত্বারোপ করেছি।
মন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি’র মিলনতায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে “মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে আইসিটির ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা আমাদের সন্তানদের বাসযোগ্য আবাসভূমি দিয়ে যেতে পেরেছি। আমাদের জন্য, প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার জন্য এটি একটি গৌরবের বিষয়। আধুনিক বাংলাদেশের কথা উঠলে, ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা উঠলে সবার আগে আমাদের মন্ত্রনালয়ের কথা ওঠে, আইসিটি বিভাগের কথা আসে। তবে স্বাধীনতার প্রায় ৪৯ বছরের কাছে এসেও আমরা স্বাধীনতার সঠিক মূল্যবোধ ধারণ করতে পারেনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে আলাদা করা যায় না। তারা এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বের কারণেই দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে জানলে বাংলাদেশকে জানা যাবে। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে রূপরেখা তৈরি করে কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন তার নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে আমরা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর সদস্য পদ লাভ করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীরপ্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এনডিসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এ.বি.এম. আরশাদ হোসেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং সিসিএ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক জনাব আবুল মানসুর মোহাম্মদ সার্ফ উদ্দিন।