অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর মধ্যে ‘মটোরোলা জি’ সিরিজের স্মার্টফোনগুলোকে সবসময়ই অন্যতম ভালো ফোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ‘মটো জি-৭ পাওয়ার’ স্মার্টফোনে এমন সব ফিচার আছে যা ফোনটি অনন্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চলুন দেখে নিই এই স্মার্টফোনে কী ফিচার আছে-
পারফরমেন্স: মটো জি-৭ পাওয়ারে আছে ৪ জিবি র্যাম আর ৬৪ জিবি রম। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ গিগাহার্টজ অক্টাকোর স্ন্যাপড্রাগন ৬৩২ প্রসেসর।
ব্যাটারি: স্মার্টফোনের ফিচার বিশ্লেষণ কিংবা রিভিউ লেখার শুরুতে কেউই ব্যাটারি নিয়ে আলোচনা করে না। ব্যাটারি নিয়ে সাধারণত একেবারে শেষে আলোচনা করা হয়। কিন্তু মটো জি-সেভেনের ব্যাটারি লাইফ এমন যে, এটা নিয়ে শুরুতেই আলোচনা করতে হচ্ছে। এই স্মার্টফোনটি একবার চার্জ করে ছবি তোলা, মেইল করা, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গেমস ও মুভি দেখার পরও প্রায় তিন দিন চার্জ ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। এর ব্যাটারি ক্ষমতা পাঁচ হাজার মিলি-অ্যাম্পিয়ার এবং ১৫ ওয়াটের টার্বো চার্জিং সুবিধার ফলে ১৫ মিনিট চার্জে ৯ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।
হার্ডওয়্যার এবং ডিজাইন: আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, এটি আকারে অনেক বড় এবং মোটা হবে। আপনার ধারণা ঠিক নয়। ব্যাটারি ক্ষমতা ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার হওয়ার পরও এই ডিভাইসটি সহজে হাতে রাখা যায়। মটোরোলা জি-সেভেনের ডান পাশে পাওয়ার এবং ভলিউম বাটন রয়েছে। এছাড়া এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি আছে পেছন দিকে। ফোন হাতে ধরে থাকার সময় ওই সেন্সরটি যেন আপনি সহজেই অনুভব করতে পারেন সেজন্য কিছুটা ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সুবিধা।
সিম ও মেমরি কার্ড: ডিভাইসটির বাম পাশে সিম কার্ড ব্যবহারের জায়গা রয়েছে। এই ট্রে খুলতে একটি পিন ব্যবহার করতে হবে। সিম কার্ডের পাশেই আছে মেমরি কার্ড সংযুক্ত করার জায়গা। ডিভাইসটির ৬৪ গিগা স্টোরেজ ক্ষমতার পরও যদি আপনার বাড়তি স্টোরেজ দরকার হয় তাহলে ৫১২ জিবি পর্যন্ত মেমরি কার্ড সংযুক্ত করতে পারবেন।
অন্যান্য পোর্ট: ডিভাইসটির নিচের দিকে একটি ইউএসবি-সি পোর্ট রয়েছে। মটোরোলা জি-সেভেনের ইউএসবি-সি পোর্টের সাহায্যে আপনি টার্বো চার্জিং সুবিধা নিতে পারবেন। স্মার্টফোনটিতে ৩.৫ এমএম হেডফোর্ট জ্যাক রয়েছে।
সফটওয়্যার: মটোরোলা জি-সেভেন পাওয়ারে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড-৯ ব্যবহার করা হয়েছে। অবশ্য কিছু ফিচার কাস্টমাইজ করেছে মটোরোলা কর্তৃপক্ষ। ডিভাইসটির নেভিগেশন বার থেকে ব্যবহারকারীরা আনলক, মিডিয়া কন্ট্রোলস,স্ক্রিনশট এডিটর, থ্রি ফিঙ্গার স্ক্রিনশট, ফাস্ট ফ্ল্যাশলাইট, কুইক ক্যাপচার, পিক ডিসপ্লে, অ্যাটেনটিভ ডিসপ্লে ইত্যাদি অপশনে যেতে পারবেন।
ক্যামেরা: মটোরোলা জি-সেভেন পাওয়ারের অন্যতম আকর্ষণ এর ক্যামেরা। ডিভাইসটির পেছন দিকে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং সামনের দিকে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। স্মার্টফোনটির রিয়ার ক্যামেরা দিয়ে ফোর-কে রেজ্যুলেশন ভিডিও করা যায়। মটোরোলার এই ফোনটি দিয়ে ছবি তুলে সেগুলো ডিএনজি ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা সম্ভব।
দাম: একবার চার্জে টানা তিনদিন চলবে- এমন একটি স্মার্টফোন কিনতে আপনি কত টাকা ব্যয় করবেন? মটোরোলা জি-সেভেন পাওয়ারের দাম ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা।