পাবলিক পরীক্ষাসহ যেকোনো ধরনের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে প্রযুক্তি ও উন্নয়নকে দুষলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁসকারীরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে। আমরা যখন এর পাল্টা ব্যবস্থা করি তখন তারা আরেকটি প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হচ্ছে। এটা হচ্ছে উন্নয়নের সমস্যা, প্রযুক্তির সমস্যা। তবে, এটা আমরা মোকাবেলার চেষ্টা করছি।’
রবিবার দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, ‘সরকার বারবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পরেও কিছুসংখ্যক শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁসে সরাসরি জড়িত। প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তারপরও প্রশ্নফাঁস হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসসহ একাধিক কারণে সরকারকে চাপে থাকতে হয়। প্রশ্নফাঁস আমাদের দেশের দীর্ঘকালের সমস্যা। আমরা শুরু থেকে এ সমস্যা মোকাবেলা করছি। আগে বিজি প্রেস একটি সমস্যা ছিল। কিন্তু আমরা সেটাকে নিরাপদ করেছি। এখন সেখান থেকে প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা নেই। সেখান থেকে জেলা-উপজেলায় পাঠানো হয় সেটাকেও নিরাপদ করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যাদের নিরাপদ ভাবা উচিত সেই শিক্ষকরা পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্ন ফাঁস করছেন।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘কিছুসংখ্যক শিক্ষক যারা শিক্ষক সমাজের সম্মান নষ্ট করছে এবং সার্বিকভাবে সরকারকে সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। তারা পরীক্ষার আগে খাম খুলে এটা প্রচার করে দেয়। এতে তারা অর্থ আয়ও করে আবার সরকারকেও বেকায়দায় ফেলতে চায়। তবে এবার আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা পরিষ্কার বলে দিয়েছি কোনোভাবে যদি কাউকে জড়িত পাওয়া যায় তার কঠোর শাস্তি হবে, শিক্ষকের চাকরি থাকবে না। ওই স্কুলের কেন্দ্র বাতিল হবে, স্কুল বাদ দিতে পারি।’
প্রশ্নফাঁস রোধে তিনি তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এখন থেকে কেউ কোনো ধরনের মোবাইলফোন হলের আশপাশে নিতে পারবে না। এটা আগেই সিদ্ধান্ত ছিল, এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে গিয়ে সিটে বসতে হবে, তারপর খাম খোলা হবে। এটা পর্যবেক্ষণের জন্য মোবাইল টিম করে দিয়েছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় যখন তখন গিয়ে হাজির হবে এই মোবাইল টিম।’
এ সময় মন্ত্রী প্রশ্নফাঁস রোধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।