ইডটকো বাংলাদেশের নতুন কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক রিকি স্টেইন। সম্প্রতি এই ঘোষণা দেয় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইডটকো। নতুন এই নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করতে চায় কোম্পানিটি। এ জন্য নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ সমাধান বিধানের মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে সর্বোত্তম সেবা প্রদানে পুরোপুরি প্রস্তুত ইডটকো। ৫জির জন্য বাংলাদেশকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের যে প্রতিশ্রুতি কোম্পানিটি দিয়েছিলো, নতুন এই নিয়োগের মাধ্যমে সেটাই পুর্নব্যক্ত হলো।
প্রায় ২৪ বছর ধরে টেলিযোগাযোগ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন রিকি স্টেইন। সুদীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন তিনটি মহাদেশে কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে যোগদানের আগে প্রায় চার বছর তিনি ‘ইডটকো মিয়ানমারে’র প্রকৌশল শাখার পরিচালক (ডিরেক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে ‘ইডটকো মিয়ানমারে’র প্রকৌশল দল অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দেশটির বড় বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্পের কাজ সুসম্পন্ন করেছে। এছাড়া নবায়নযোগ্য এনার্জি সল্যুশনের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন অনেক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি চালুতেও তার ভূমিকা অসামান্য।
“বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর যাত্রা খুবই দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। এটা নিশ্চিত যে, যথার্থ শেয়ারেবল অবকাঠামো নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারি, যেখানে অসংখ্য ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে দেশটির অগ্রগতির এই ধারাকে আরো ত্বরান্বিত করা সম্ভব। বাংলাদেশের মতো ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশে নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক সেবার নিশ্চয়তা প্রদানের প্রধান শর্ত হলো যথাযথ অবকাঠামো। আর আমাদের মতো স্বাধীন অবকাঠামো কোম্পানিই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে, যারা যথার্থ অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি সঠিক ব্যবস্থাপনাতেও দক্ষ। ৫জি কিংবা স্মার্ট সিটি সল্যুশনের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি গ্রহণ করাতে আমরা অবিরাম কাজ করতে থাকবো। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের অংশীদার হতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।“-বলেন রিকি স্টেইন।
“এই মুহূর্তে ইডটকো বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। রিকির মূল্যবান অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এদেশে আমাদের ব্যবসাকে আরো ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে। সঠিক পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবসাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই বিশ্লেষণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ব্যবহার শুরু করেছি। মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে রিকি যে মূল্যবান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে, আমাদের এই অগ্রসরমান পরিবেশে সেটা দারুণ কাজে দিবে। তাকে পেয়ে আমরা ভীষণ আনন্দিত”- বলেন, ইডটকো গ্রুপের বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তা ভিজেন্দ্র ওয়াটসন।
রিকি স্টেইনের এই নিয়োগ বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থানকে আরো পোক্ত করার পাশাপাশি এই অঞ্চলজুড়ে কোম্পানিটির পদচিহ্ন আঁকার আকাঙ্খারই বর্হিঃপ্রকাশ। মালিকানাসহ আটটি দেশে বর্তমানে ৩১,৮০০টিরও বেশি টাওয়ার পরিচালনা করছে ইডটকো গ্রুপ।