ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ব্যক্তিগত ডেটা, ফিনান্সিয়াল ডেটাসহ সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।তিনি বলেন, সকল প্রকার ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।ডিজিটাল প্রযুক্তি যত বিকশিত হচ্ছে ডেটা নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা তত বাড়ছে। আবার ডেটা যারা চুরি করছে তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে খুবই পারদর্শী। এই পরিস্থিতিতে আইনের পাশাপাশি আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আজ রোববার ডিজিটাল প্লাটফর্মে ঢাকায় লিগ্যাল কাউন্সিল আয়োজিত ডেটা প্রোটেকশন এন্ড প্রাইভেসি শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল অপরাধ এবং তা মোকাবেলা একেবারেই নতুন ধারণা।পরিবর্তিত পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে।প্রযুক্তিগত অপরাধের বিষয়ে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে সচেনতা বেড়েছে। আইনশৃঙ্গলা রক্ষা বাহিনী এই বিষয়ে অত্যন্ত সচেষ্ট হওয়ায় অপরাধের মাত্রাও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে তাঁর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জিত হওয়ায় কারণে করোনাকালে গৃহবন্দি থেকেও মানুষ ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মুক্ত জীবনের স্বাদ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির অপরাধ প্রযুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করার সক্ষমতা অর্জনেও আমরা পিছিয়ে নেই। তিনি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠিত অপরাধ প্রতিরোধে ২২ হাজার পর্ন্য সাইট ও ৪ হাজার জোয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে শক্তিশালী প্রযুক্তি আমরা অর্জন করেছি।
অনুষ্ঠানে বিকাশ এর সিইও কাদির কামাল, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং লিগ্যাল কাউন্সিলের কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন।