বিদ্যুতের খুঁটিতে টানানো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তার উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে করে দক্ষিণ সিটির আরো ১৫ হাজার ইন্টারনেট গ্রাহক বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট সংযোগ হারিয়েছেন। সূত্রমতে, দুই দিনের অভিযানে ইন্টারনেট সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন ওই এলাকার প্রায় ২৫ হাজার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পর নতুন করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে সোনালী ব্যাংক।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিটির মেয়রের কাছে আবেদন করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি।
অপরদিকে চলমান এই অভিযানকে সময়োপযোগী নয় মন্তব্য করে ‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্রাহকদের শাস্তির মানে কি’ বলে প্রশ্ন রেখেছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতের গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
দক্ষিণ সিটির তথ্য অনুযায়ী, উচ্ছেদ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন উদয়ন মার্কেটের আশপাশ এবং গোলাপ শাহ মাজার হতে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ পরিচালনা করা হয়।
সকাল দশটার কিছু সময় পর ফুলবাড়িয়া মার্কেটের সামনে অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, রবিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের পাশাপাশি বঙ্গ বাজার, আনন্দ বাজার এলাকায় অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এদিকে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আদালত আজ ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের সম্মুখ অংশসহ ধানমন্ডি ৭ নং রোডে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী রবিবারে ধানমন্ডির অন্যান্য এলাকা ও হাজারীবাগ এলাকায় অবৈধ ক্যাবল সংযোগ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
অপরদিকে ঢাকার মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ মাটির তলদেশ দিয়ে নেয়ার মতো অবকাঠামো এখনো বাস্তবসম্মত হয়নি বলে ঝুলন্ত তার মোটেই অবৈধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ সিটির মতিঝিল ছাড়া কোথাও বিল্ডিং টু বিল্ডিং আন্ডারগ্রাউন্ড সল্যুশন নেই। নেই ব্যাকআপ লাইন সুবিধাও।
এই পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান না হলে ইন্টারনেট সেবাদাতারা আর ওই এলাকায় ইন্টারনেট সেবা না দেয়ার কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করবে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
তিনি বলেন, আজ আমরা মেয়রের কাছে চিঠি দিয়েছি। ওনার উত্তর পেলেই আমরা ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার বিষয়টি ঠিক করবো। সরকারের ভাব মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেই আমরা দু’ এক দিনের মধ্যে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেবো।