ভার্চুয়াল ক্লাসে অভ্যস্ততার জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষক এবং ছাত্রদের মানসিক প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অভিজ্ঞজনেরা। শিক্ষার্থ জন্য শতভাগ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতেও দাবি তুলেছেন তারা। পাশাপাশি অনলাইন ক্লাসের বৈষম্য ও ত্রুটি দূর করতে বিশেষ করে প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষাদানে যে ল্যাব কোর্স গুলো ভার্চুয়ালি করানো সম্ভব পর নয় সেগুলো কিভাবে পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা তৈরির ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
একইসঙ্গে ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং ব্রডব্যান্ড সংযোগ যদি সরাসরি শিক্ষক, পাঠাগার এবং গবেষণাগারের বিকল্প হয়; তাহলে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী এর কোনো সুবিধাই গ্রহণ করতে পারবে না বলেও সতর্ক বার্তা দিয়েছেন শিক্ষা-মনোবিজ্ঞানীরা।
শনিবার সিটিও ফোরাম আয়োজিত “কোয়ালিটি এডুকেশন ইন ভার্চুয়াল ক্লাস রুম” শীর্ষক ওয়েবিনারে এমন অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা।সংগঠনটির ধারাবাহিক চতুর্দশ ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আক্তার হোসাইন। আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় ওয়েনিবারে সভাপতিত্ব করেন তপন কান্তি সরকার।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইউ ল্যাব ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর এইচ এম জহিরুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরিচালক মহদয় ডক্টর ফখ্রুল ইসলাম, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স সফটওয়্যার নেটোয়ার্কের সভাপতি মুনির হাসান, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর তৌহিদ ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের অধ্যাপক আক্রাম হোসেন এবং আই সিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের পলিসি স্পেশালিষ্ট আফযাল হোসেন সারোয়ার।