সাংসারিক শত ব্যস্ততার মাঝে বারবার বাজারে যাওয়ার ঝক্কি এড়াতে অনেকেই এখন গোটা মাসের বাজার একসাথে সেরে ফেলার চেষ্টা করেন। পচনশীল দ্রব্য বাদে বাকি প্রায় সবরকম খাবার দীর্ঘ দিনের জন্য সতেজ ও নিরাপদ রাখতে রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মাসের বাজারের ক্ষেত্রে একসাথে কিনে আনা সব ভোগ্যপণ্য একটি রেফ্রিজারেটরে আঁটাতে গেলেই বাধে বিপত্তি। রেফ্রিজারেটরের সীমিত পরিসরের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের খাবার পাশাপাশি সাজিয়ে রাখতে গিয়ে রীতিমত হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই।
এই দূর্ভোগ থেকে রেহাই দিতে স্যামসাং বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে এক অনন্য সমাধান। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনীর ধারাবাহিকতায় স্যামসাংয়ের ‘স্পেসম্যাক্স’ প্রযুক্তির সাহায্যে এবার আরো স্বাচ্ছন্দ্যে সাথে রেফ্রিজারেটরের নির্ধারিত পরিসরের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর ৭০০ লিটারের প্রশস্ত জায়গার সুবিধা ব্যবহারকারীদের গোটা মাসের বাজারকে সমানভাবে সতেজ রাখবে, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল বা অন্য কোনো ঝামেলা ছাড়াই!
এই উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ব্যবহারকারীরা ১৫ দিন পর্যন্ত তাদের খাবারকে ৭০ শতাংশ পূর্ণ আর্দ্রতায় সংরক্ষণের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। সেই সাথে যুক্ত হওয়া ডিওডোরাইজিং ফিল্টার রেফ্রিজারেটরের অভ্যন্তরে যেকোনো দূর্গন্ধকে দূর করে খাবারের আসল স্বাদ ও সৌরভকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। স্পেসম্যাক্স টেকনোলজির ব্যবহার ও উন্নত সতেজতা ছাড়াও স্যামসাং তাদের এই নতুন ধাঁচের রেফ্রিজারেটরকে সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব রূপে তৈরি করছে। ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসরের সংযুক্তির কারণে বিদ্যুতের ওপর কোনো প্রকার চাপ তৈরি বা পরিবেশের কোনো ক্ষতি সাধন ছাড়াই এই রেফ্রিজারেটরগুলো সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তুলনায় অনেক দ্রুত খাবারকে ঠান্ডা ও নিরাপদ করে।
এ প্রসঙ্গে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলার লক্ষ্যে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং। এই প্রেরণা থেকেই আমরা বাজারে এমন একটি রেফ্রিজারেটর নিয়ে এসেছি, যা ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনে খাবারদাবার সংরক্ষণের কাজে দেবে আরো উন্নত সুবিধা ও স্বাস্থ্যকর খাবারের নিশ্চয়তা।’
আধুনিক এই রেফ্রিজারেটরগুলো পাওয়া যাচ্ছে সোনালি, রূপালি, কালো, বাদামি, লাল ও বেগুনি – এই কয়েকটি বৈচিত্র্যময় রঙের ডিজাইনে, সুতরাং ব্যবহারকারীগণ নিজ নিজ ঘরের রঙ ও আসবাবপত্রের সাথে মানানসইভাবে তাদের পছন্দের ডিজাইনটি বেছে নিতে পারবেন। এছাড়াও ‘স্যামসাং স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম’ -এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়ে তাদের প্রয়োজন অনুসারে রেফ্রিজারেটরের পাওয়ার কুল, পাওয়ার ফ্রিজার ও আইস মেকার সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারবেন।
স্যামসাং বাংলাদেশ তাদের রেফ্রিজারেটরের ওপরে দিচ্ছে ১২ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা। সেই সাথে গ্রাহকগণ পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারির সুযোগ। আগ্রহী ক্রেতাগণ স্যামসাং স্মার্টপ্লাজা, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, ট্রান্সকম ডিজিটাল, ইলেকট্রা এবং র্যাংগস ইন্ডাস্ট্রিজ স্যামসাং রেফ্রিজারেটর ক্রয় করতে পারবেন।