শীতের আগমনের সাথে তাপামাত্রা কমে আসছে। এ পরিস্থিতিতে, রাতে বেশ ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীতের প্রকোপের কারণে যারা গ্রামে বসবাস করেন, বিশেষ করে প্রবীণ, তাঁদের বেশ সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে দেশে আসবে শৈত্য প্রবাহ। এ পরিস্থিতিতে, নাটোরের সিংড়া উপজেলায় শীতার্ত দরিদ্রদের মাঝে আজ পল্লীশ্রী উন্নয়ন সংস্থা’র মাধ্যমে চার হাজার কম্বল বিতরণ করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
আজকের এই উদ্দেশ্যকে সফল করতে গত বেশ কিছুদিন থেকেই কাজ শুরু করে হুয়াওয়ে। এবং সম্প্রতি সীমিত পরিসরে একটি অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয় যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক; যিনি বরাবরই প্রবীণদের ব্যাপারে নানা উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বন্যা, করোনায় আমরা সার্বক্ষণিক মানুষের পাশে থেকেছি তাদের সেবা করেছি। এখন শীত আসছে। ঢাকার মতো অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি। এসব গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য শীতকাল বেশ পীড়াদায়ক। কারণ, শীত নিবারণের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাব রয়েছে। এ বিষয়টি অনুধাবন করে শীতে প্রবীণদের মধ্যে কম্বল বিতরণের যে সমন্বিত উদ্যোগ হুয়াওয়ে গ্রহণ করেছে তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের বিকাশে প্রচেষ্টার পাশাপাশি সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য হুয়াওয়ের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।“
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন বলেন, ‘গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশে আইসিটি ক্ষেত্রের উৎকর্ষ সাধনে হুয়াওয়ে একই সাথে একটি গ্লোবাল এবং লোকাল প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানুষদের পাশে রয়েছি। বাংলাদেশে শীত শুরু হয়েছে এবং শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এর আগের বছরগুলোতে আমি দেখেছি তাঁদের কষ্ট। কম্বল বিতরণের বিষয়টি শীতার্ত মানুষের প্রতি আমাদের উষ্ণ ভালবাসারই প্রতীক।“
এ উদ্যোগ নিয়ে পল্লীশ্রী’র সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার বলেন, “আমরা খুব কাছ থেকে মানুষের কষ্ট, দুর্দশা দেখতে পাই। আর তাই সবসময় তাঁদের পাশে তাঁদের জন্য কাজ করে যাই। এই কম্বল বিতরণের সময় গরীব মানুষগুলোর করুণ মুখে যে হাসি ফুটে উঠবে সেটা আমাদের জন্য অনেক মূল্যবান। হুয়াওয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা প্রয়োজনের সময় এ দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।“
গত কয়েক বছর বছর ধরে ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ-এর সিনিয়র কেয়ার অ্যাকটিভিটিস ২০২০’ উদ্যোগের আওতায় দরিদ্রদের বিভিন্ন ধরণের ত্রাণ দিয়েছে হুয়াওয়ে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৪ ডিসেম্বর উল্লেখিত এলাকায় কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।