আগামী শুক্রবার (২৮ মে) দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী আট ঘণ্টা ইন্টারনেটের গতি কম থাকতে পারে। সাবমেরিন ক্যাবলের বর্তমান ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল রুটের পরিবর্তে নতুন রুটে সংযোগ প্রতিস্থাপন করা হবে সেদিন। এতে সাময়িকভাবে এই ধীরগতি সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকেরা। রোববার (২৩ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
কক্সবাজার সড়ক বিভাগ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ‘এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৪’ সাবমেরিন কেবলের কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে বিচ ম্যানহোল পর্যন্ত বর্তমান ভূ-গর্ভস্থ কেবলের বিকল্প রুট হিসাবে নতুন একটি রুট স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
শুক্রবার ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ কাজ হবে বলে এই সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনে টার্মিনেটেড সার্কিটগুলো বন্ধ থাকবে।
তবে এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৫ দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ও ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) অপারেটরের সার্কিটগুলো চালু থাকবে। ফলে গ্রাহকদের এসময় খুব একটা অসুবিধা পোহাতে হবে না বলে জানিয়েছেন বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথের সংযোগ প্রদানের কাজ সম্পন্ন করায় আন্তর্জাতিক ভয়েস, ডেটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা হবে না।
মশিউর জানান, বর্তমানে দেশ প্রথম ক্যাবল থেকে ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। আর দ্বিতীয় ক্যাবল থেকে ১২০০ জিবিপিএস সক্ষমতার মধ্যে ১০০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হচ্ছে।
দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার হচ্ছে ২২০০ জিবিপিএস। এর মধ্যে বিএসসিসিএল এর ১৫০০ জিবিপিএস এবং বাকি ৭০০ জিবিপিএস দিচ্ছে আইটিসি এবং আইআইজি কোম্পানিগুলো।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।