তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিশ্বে যেন আর কোনো শিশুকে শেখ রাসেলের মতো জীবন দিতে না হয়। দেশের প্রতিটি শিশু-কিশোরের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, শেখ রাসেলের সংগ্রামী জীবন এবং তার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড আমরা তুলে ধরতে চাই।
রোববার শেখ রাসেল ওয়েবসাইট ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা উদ্বোধন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পলক জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বিশেষ কার্যক্রম নিয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ রাসেল দিবসকে (প্রতি বছরের ১৮ অক্টোবরকে) ‘ক’ শ্রেণীর দিবস হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কোটি কোটি শিশু, কিশোর ও তরুণদের কাছে শেখ রাসেলের জীবন ও শৈশবকে তুলে ধরা হলো এ দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহ বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাযজ্ঞে পাষাণ ঘাতকের মন এতটুকু টলেনি নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলের আকুতিতে। মায়ের কাছে যাবার প্রাণপণ আর্তিতে কর্ণপাত করেনি খুনিরা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. বি. এম. আরশাদ হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সবশেষে কুইজ প্রতিযোগিতার নিয়ম উপস্থাপন করেন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটিজ (সিসিএ), ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিসহ সকল মন্ত্রণালয় এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সহযোগিতায় শেখ রাসেল (www.sheikhrussel.gov.bd) নামে একটি ওয়েবসাইট ও অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্প। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিশু-কিশোর তথা বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে শেখ রাসেল সম্পর্কে জানতে পারবে।