মোবাইল ইন্টারনেটের ডাটা প্যাকেজের নির্ধারিত সীমা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ডাটা প্যাকেজের সীমা থাকা উচিত নয়। সব অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী একটি ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করা সময়ের দাবি।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বিটিআরসি আয়োজিত ব্রডব্যান্ড আইসিটি অবকাঠামো, সেবা ও সংযুক্তি বিষয়ক বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তির আলোকে ব্রডব্যান্ড এমবিপিএস নয়, তা জিবিপিএস-এ রূপান্তর করা অপরিহার্য। ২০৪১ সালকে সামনে রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাব্য পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও জনগণের চাহিদা উপযোগী ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ফাইভ-জি’র মাধ্যমে আমরা যে ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণ করছি তা হবে ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম প্রধান শক্তি। ২০০৮ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা। বর্তমানে তা মাত্র ৬০ টাকায় পাওয়া যায়।
মন্ত্রী বলেন, যে কোনো নীতিমালা প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন কাজ। আগামী ২০ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ব্রডব্যান্ড নীতিমালা করতে হবে। যথার্থ পরিকল্পনা না হলে কোনো নীতিমালাই স্বয়ংসম্পূর্ণতা পায় না।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ছিল বলে করোনাকালেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অবস্থা সুদৃঢ় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী করতে বিটিআরসি নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন-এলায়েন্স ফর এফোর্ডেবল ইন্টারনেটের এশীয় প্রশান্তমহাসাগীয় প্রধান আনজু মঙ্গল, এটুআই’র পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লতিফা জামাল প্রমুখ।