ইনস্যুরটেকের কার্যক্রম নিয়ে বেসিস ও আইডিআরএর বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)-এর মধ্যে আইডিআরএ কার্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ইনস্যুরটেকের অগ্রগতি এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ফিনটেক এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পর্কিত বেসিস স্থায়ী কমিটি এই ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলির জন্য একটি খসড়া নির্দেশিকা উপস্থাপন করেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে এই খসড়া নির্দেশিকা চূড়ান্ত করার প্রস্তাব করেন।
বৈঠকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন যে আমাদের বীমা কোম্পানী গুলোর ব্যবস্থাপনাগুলো সেকেলে।
বীমা কোম্পানী গুলোর আধুনিকায়ন, সেবার মানোন্নয়ন এবং বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বীমাখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে ৬০ দিনের মধ্যে খসড়া নির্দেশিকা চূড়ান্ত করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
বৈঠকে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বীমা খাতের অগ্রগতির জন্য ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরির প্রয়োজনীয়তা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো তৈরির আহ্বান জানান।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর ভূমিকা ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনস্যুরটেকের মত সম্ভবনাময় খাতের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বীমা কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি আমাদের ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রয়োজন যার মাধ্যমে এই ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলো নির্দিষ্টভাবে কাজ করতে পারে।
ফিনটেক এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পর্কিত বেসিস স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিডি জবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর বলেন ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ কাঠামোটি অবশ্যই শিল্প-বান্ধব হতে হবে যাতে আমরা বীমা কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তি সরবরাহকারক না হয়ে বীমা কোম্পানীগুলোর অংশীদার হিসেবে কাজ করতে পারি। এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ফিনটেক এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পর্কিত বেসিস স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান ফিদা হক বলেন, “বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশ এবং ইনস্যুরটেক একটি সম্ভাবনাময় খাত হওয়ার কারণে অনেক বৈদেশিক বিনিয়োগকারী এই খাতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে আগ্রহী।
বাংলাদেশে যে সকল ইনস্যুরটেক কোম্পানি গুলো কাজ করছে সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ কাঠামো না থাকার কারণে তাদের অনেকেই অবৈধ বা কোয়াজি-বৈধ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
যার ফলে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হন না। সুতরাং, আমাদের এই বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ও সুষ্টভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ইনস্যুরটেক কোম্পানিগুলোর সুনির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণ কাঠামো অত্যাবশ্যকীয়।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমাফাই-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলভী নিজাম নাফি, ইনস্টাশিওর-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফায়েল কবির, জিবিএল ফিনটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, ছায়া ডট এক্স ওয়াই জেড-এর শাওন শাহরিয়ার।