যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ভোক্তাদের ফ্যাশন ব্র্যান্ড সম্পর্কে গভীরভাবে জানাতে হবে। আর এই ডিজিটাল যুগে এসে ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সৃজনশীলতার প্রয়োজন।
০৯ মার্চ, শনিবার ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত এবং ইয়েলোর স্পন্সরে ‘ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল মার্কেটিং ফেস্ট’ এ কথা বলেন অ্যাসেনের ফাউন্ডার ও সিইও আনন্দ চৌধুরী।
এসময় অ্যাসেন এবং তার দীর্ঘ পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল এবং ব্র্যান্ডের সাফল্যে নিয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা এবং মতামত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিতি ছিলেন বাটা সু কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের জিএম ও হেড অফ রিটেইল আরফানুল হক, বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এজিএম (মার্কেটিং) মোহাম্মদ মনজুর আলম ভূঁইয়া, র্যাপিডো ডেলিভারসের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সামদানি টাবরিজ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হেড অফ কমিনিউকেশন সুমাইয়া মতিয়াতুর।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা, এমডি, সিইও, সিএমও, সাপ্লাই চেইন হেড, ব্র্যান্ড ম্যানেজার, ফ্যাশন এবং ডিজিটাল মার্কেটার, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্যাশন মার্কেট গবেষক, ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, পেশাদার ফ্যাশন বায়ার এজেন্সি এবং শিক্ষাবিদ ।
আনন্দ চৌধুরী বলেন, ‘সফল মার্কেটিং এর ভিত্তি হলো গল্প বলা। যে ব্র্যান্ডগুলো গল্প বলতে জানে ও বর্ণনা করতে জানে তারাই ভোক্তাদের মনে জায়গা করে নিতে পারে।’
মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডগুলো এমন কিছু মুহূর্ত তৈরি করতে পারে যা ভোক্তাদের মনে থেকে যায়। এছাড়া ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে অনলাইন এবং অফলাইনকে এক করে, যাতে ভোক্তারা অভিজ্ঞতা নিতে পারে।
‘এমন একটি বিশ্বে যেখানে একটি ক্লিকেই সবকিছু অ্যাক্সেসযোগ্য এবং এক্সক্লুসিভিটি একটি বিশেষ আকর্ষণ রাখে৷ এছাড়া পজিটিভিটির মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনগুলো প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পায়।’
ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডগুলোর জন্য অভিজ্ঞতামূলক মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অ্যাসেন কি করে এবং ব্র্যান্ডের সাফল্যে কীভাবে অবদান রাখে? সে বিষয়ে আনন্দ আরও বলেন, ‘প্রথাগত সেলিব্রিটি থেকে আলাদা হলেও, মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সারদের ছোট পরিসরের কাজের প্রতি ফলোয়ারদের বেশ আগ্রহ থাকে।
মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলো তাদের উপস্থাপনা আরও ভালোভাবে করতে পারে।’
অ্যাসেনে সিইও আরও বলেন, ‘ইনস্টাগ্রাম এবং পিন্টারেস্টের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম অনলাইন কেনাকাটার মাধ্যমে ব্র্যান্ডগুলো ভোক্তাদের আরও কাছে নিয়ে এসেছে।
একটি ক্লিকের মাধ্যমে সামাজিক অ্যাপগুলো থেকে ভোক্তারা এখন পছন্দের পণ্য ব্রাউজ করে এবং কিনতে পারে।’
ভার্চুয়াল মাধ্যম গুলো ব্র্যান্ডগুলিকে আরও বৃহত্তরভাবে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতে ভোক্তারা তাদের ঘরে বসেই ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা নিতে পারে বলে জানান আনন্দ চৌধুরী।
‘তারপর, এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা ও তাদের আচরণ বিশ্লেষণ করে তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ সম্পর্কে জানা যায়। ভোক্তাদের প্রয়োজন সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ইউজার জেনারেটেড-কনটেন্ট ব্র্যান্ডগুলোর জন্য গুরুত্ব মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যার মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রভাবিত করা যায়। এমনকি কিউআর কোডের ব্যবহারও আগে থেকে মার্কেটিং জগতে অনেকটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।’
অ্যাসেনের ফাউন্ডার বলেন, ‘এনগেজমেন্ট বাড়াতে এবং মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সারদের সঙ্গে ফ্যাশন এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডগুলোর পার্টনারশিপ জোড়ালো করতে অ্যাসেনের মার্কেটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভূমিকা রাখে।’
তিনি আরও জানান, ডিজিটাল বিশ্বে এগিয়ে যেতে হলে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে । এর মাধ্যমে ব্র্যান্ডের সফলতা আসবে এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভোক্তাদের সাথে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব।