একটা নির্বাচনের সঙ্গে অনেকের আবেগ যুক্ত থাকে। ৩১ তারিখে নির্বাচন হচ্ছেই এ কথা শুনে চোখ ছলছল করে উঠল এক বেসিস সদস্যর। অথচ এ নির্বাচন বন্ধ হতে বসেছিল ১১ জনের এক চিঠিতে। অবশেষে চিঠির বদলে চিঠি এসেছে। এ চিঠি বেসিস নির্বাচন বাতিল ঠেকিয়ে দেওয়ার চিঠি। আগেরটা ছিল নির্বাচন বন্ধের। বেসিসের নির্বাচন বাতিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে ৩১ মার্চই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংগঠনটির নির্বাচন। বেসিসের এক সদস্য জানান, নির্বাচন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুমতির চিঠি দেয়া হয়েছে ।মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক আদেশে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বাতিল করে নতুন পুন:তফশিল ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হয়।
বেসিসের ১১ জন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ৩১ অক্টোবরের বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পুন:তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর বর্তমান কমিটির মেয়াদও বাড়াবে ৬ মাস।
২২ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সৈয়দা নাহিদা হাবিবার সই করা এই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার বেসিসের সভাপতিকে পাঠানো হয়। পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন (ডিটিও) এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঠিকানায় অনুলিপিও পাঠানো হয়। তিন দিন আগে নির্বাচন স্থগিতের এ রকম আদেশ জারির খবর শোনার পর বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী এবং সদস্যরা দুপুরের পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিকেলে নির্বাচন বোর্ড, বেশির ভাগ প্রার্থী এবং বেসিসের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্যরা জরুরি সভায় বসেন। সভা শেষ হওয়ার পর নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল উপস্থিত সদস্যদের জানান, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্যানেলসহ প্রায় সব প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন।
২২ মার্চ মধুমতী টেক নামের বেসিসের সদস্য একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রকিবুল মিনাসহ ১১ জনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বন্ধের আদেশ দিয়ে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে সৈয়দা নাহিদা হাবিবা উল্লেখ করেন, গত বছরের ২৫ মে বেসিসের সংঘস্মারক ও সংঘবিধির কয়েকটি ধারা পরিবর্তন করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পরিবর্তন করার পর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারির মধ্যে তা যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) ও মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বেসিস তা করেনি। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর বেসিসের বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএমে) বেসিসের সংঘস্মারক ও সংঘবিধি অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে গত বছরের ২২ নভেম্বর আরেকটি ইজিএম ডাকা হলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। মূলত এসব কারণ দেখিয়ে বেসিসের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।