মহাকাশে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে আগামী ৫ মে, ভোরে। ওইদিন সন্ধ্যায় দেশজুড়ে উৎসব আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীর উল্লেখযোগ্য এলাকায় আতশবাজির উৎসব ছাড়াও ডিজিটাল আলোকসজ্জার প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে সব জেলায়ও হবে উৎসব। তবে উৎসবগুলোর কেন্দ্রেবিন্দু হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ঢাকা শহরের অনুষ্ঠানস্থলসহ হিসাবে রাখা হয়েছে হাতিরঝিল, উত্তরা রাজউক স্কুল, আহসান মঞ্জিল এবং কাচপুর ব্রিজ। এর বাইরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় যে প্যাড থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হবে সেখানেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এবং উৎক্ষেপণ কোম্পানি স্পেসএক্স-এর পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠান হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকেও ৫ মে বিশেষ ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহাজাহান মাহমুদ।
সব মিলে অনুষ্ঠান আয়োজনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। তবে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিটিআরসি থেকে সহায়তা নেয়া হবে। দরপত্র আহ্বান করে আতশবাজি, প্রচারণা ও অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা তথা সাজসজ্জার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগ নেবে ডাক অধিদফতর।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রেই স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের সময় সামান্য যান্ত্রিক ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে যথাসময়ে উৎক্ষেপণ সম্ভব নাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটলাইটের নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত বছরের নভেম্বরে এর নির্মাণ শেষ হয়। আর ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
১ comment
just wow!! we will enjoy this show