ইউটিউবে অনেক আজেবাজে ভিডিও দেখবেন। এসব ভিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর—এ তিন মাসে ৮৩ লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব। কমিউনিটি নীতিমালা না মানায় এসব ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে বলে ত্রৈমাসিক ‘এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন’-এ উল্লেখ করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
অবশ্য এ প্রতিবেদনে কতগুলো ভিডিও কপিরাইট আইন ভাঙা বা আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে সরানো হয়েছে, তা উল্লেখ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বলেছে, যৌনতাপূর্ণ ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তিন মাসে ৯১ লাখ অনুরোধ পেয়েছিল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য বা অবমাননাকর ভিডিও পোস্টের অভিযোগ পেয়েছিল ৪৭ লাখ। এসব অভিযোগের বেশির ভাগ এসেছিল ভারত, যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রাজিল থেকে।
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের তৈরি করা বিশেষ অ্যালগারিদম বা প্রোগ্রাম ৬৭ লাখ ভিডিওকে ফ্ল্যাগ দেখিয়ে মডারেটরদের কাছে পাঠায়, যা পরে মুছে ফেলা হয়। এসব ভিডিওর ৭৬ শতাংশই মডারেটর ছাড়া আর কেউ দেখেননি।
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মুছে ফেলা ভিডিওর বিশেষ তথ্য রেখে দিয়েছে। এতে কেউ যদি ওই ভিডিও আবার আপলোড করে, এটা নিমেষে ধরে ফেলা যাবে।
অবশ্য ইউটিউব কিডসের ক্ষেত্রে কত ভিডিও সরানো হয়েছে, সে তথ্য প্রকাশ করেনি ফেসবুক।
গত মার্চ মাস থেকে উসকানিমূলক ভিডিও ছড়ানো ঠেকাতে যুক্তরাজ্যজুড়ে ইউটিউবের সমালোচনা হচ্ছে।
ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইউটিউব ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে এখন রিপোর্টিং ড্যাশবোর্ড যুক্ত করা হবে। এখানে যে ভিডিও বিষয়ে তাঁরা আপত্তি জানাবেন, এর সর্বশেষ হালনাগাদ সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন।