ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। পৃথিবীর ইতিহাসে দেশের নামের সঙ্গে ‘ডিজিটাল’ সংযুক্ত করতে আমরাই পথিকৃৎ। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ সর্বক্ষেত্রে ডিজিটালের ব্যবহার বাস্তবায়ন কর্মসূচী চলমান। আমাদের এবারের উদ্যোগ কাগজববিহীন সরকার। সরকারের যাবতীয় তথ্যের ব্যবহারে স্মার্টফোনই যথেষ্ট হবে।
২৮ এপ্রিল শনিবার সিলেটের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি আরো বলেন, দেশের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করেছে। আমাদের দেশের তরুণরা ঢাকার পান্থপথে বসে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র তৈরি করে দিচ্ছে। শ্যামলীতে বসে টোকিওর বাড়ি পাহাড়া দেয়াটা বিস্ময়কর শোনালেও এমনটি ঘটছে এই দেশে। সুতরাং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে আমরা মোটেও পিছিয়ে নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) সাফায়েত মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাতের তালুতে কম্পিউটার, স্মার্টফোন চলে এসেছে। যা একসময় অবিশ্বাস্য ছিল। একটা সময় কপালের টিপ বা হাতের আংটি হবে ভবিষ্যত কম্পিউটার। আমরা সে যুগ পাই বা না পাই তোমরাই হবে সে যুগের নেতা। সেজন্য চাই প্রযুক্তির সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক। প্রযুক্তিকে যে যতো দ্রুত ধারণ করতে পারে, সেই নিজের মেধাকে সম্পদে পরিণত করতে পারবে। আর এ পৃথিবীতে একসময় মেধার চেয়ে দামি কোন সম্পদ থাকবে না।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি(বিসিএস) এর সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মাঝে প্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে বিসিএস একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তিকে আপন করে নিলে জীবন সহজতর হবে। বেকারত্ব দুর হবে। দরিদ্র থেকে সামর্থ্যবান হতে প্রযুক্তি হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। সরকারের সঙ্গে প্রযুক্তির শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিসিএস সবসময় একাত্মতা ঘোষণা করে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন বিসিএস এর সিলেট শাখার চেয়ারম্যান এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সিলেট কোন অংশে পিছিয়ে নেই। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে যতো বেশি কর্মশালা হবে, তত শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে। সিলেটে আইসিটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা আইসিটি মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ এম.পি, তথ্যপ্রযুক্তি বিসিএস মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক শাহীদ-উল-মুনীর, মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচীতে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজয় ডিজিটালের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন জুঁই। সঞ্চালনায় ছিলেন বিসিএস সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক এ এস এম জি কিবরিয়া। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের উদ্যোগে বিসিএস সিলেট শাখার সহযোগিতায় এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
কাগজবিহীন সরকার চাইলেন মোস্তাফা জব্বার
previous post