আইওটি আর্মি অফ ৩০০ শিরোনামে ডাটাসফট পরিচালিত আইওটি (ইন্টারনেট অফ থিংস) ২য় ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছে। হাই-টেক পার্ক এবং আইসিটি বিভাগের আর্থিক সহায়তায় ডাটাসফ্ট ৩০০ ইঞ্জিনিয়ারকে চার মাসের একটি আইওটি (ইন্টারনেট অফ থিংস) বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এর সাথে আইওটি ল্যাব পরিচালনার জন্য সহযোগিতায় রয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস, এল আই সিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগ।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। নতুন ব্যাচে প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেছে ৯০ জন প্রশিক্ষণার্থী যা আগের ব্যাচের তিনগুণ। এই তরুণ, তরুণীরা কৃষি, উৎপাদন, হোম অটোমেশন এবং শিল্পক্ষেত্রে বাংলাদেশে স্মার্ট আইওটি ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সলিউশন প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
১৫ মে, ২০১৮ তারিখে ঢাকার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-এ ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ডাটাসফ্ট সিস্টেমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মাহবুব জামান উপস্থিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জীবযাত্রার মানোয়ন্নে এই আইওটি এক্সপার্টদের কাজ দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, জাপান মার্কেটে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের কদর বাড়ছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত উদ্যেক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমেদ পলক, এমপি। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন “আজকে আমাদের খুবই আনন্দের দিন, আজ আমরা ৯০জন আইওটি এক্সপার্ট পেলাম, বাংলাদেশ পেলো, সারাবিশ্ব পেলো। আমি অভিবাদন জানাই তাদের যারা একটা নতুন বিষয় জানার আগ্রহ নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন প্রায় ৬ মাস আগে আজ তার চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেলো। তিনি আরো বলেন” আমার দৃঢ় বিশ্বাস ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ও ইন্ডাস্ট্রি ভার্সন ৪.০ এর পথে আমাদের যাত্রায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইঞ্জিনিয়ার জনাব তাকসিম এ খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসা, পাওয়ার সেল-এর মহাপরিচালক জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ও এলআইসিটি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট জনাব সরকার আবুল কালাম আজাদ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম আই এস বিভাগের ডিরেক্টর প্রফেসর আকরাম হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস ডিপার্টমেন্ট-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ। আইওটির বর্তমান কর্মকান্ড এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন ডাটাসফট এর পরিচালক ও চীফ অপারেটিং অফিসার জনাব এম. মনজুর মাহমুদ।
বর্তমানে ডাটাসফ্ট জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন আইওটি ভিত্তিক প্রকল্পে কাজ করছে। স্মার্ট লাইফ কোং লিমিটেড জাপান-এর সাথে ডাটাসফট দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে জাপান মার্কেটে প্রবেশ করেছে। ডাটাসফ্ট জাপানের প্রাণকেন্দ্র টোকিও শহরে দশ হাজার অ্যাপার্টমেন্টে আইওটি সলিউশন প্রদান করবে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো-এর বিখ্যাত “মাতাদি” সেতুর জন্য আইওটি ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় টোল ব্যবস্থাপনা বাস্ত-বায়ন করার জন্য দেশটির পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরসহ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে।
এছাড়াও ডাটাসফ্ট কৃষিখাতকে আইওটি প্রযুক্তির সহায়তায় আধুনিকায়ন করতে ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বল্প খরচে বিভিন্ন পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেমন স্মার্ট পোল্ট্রি, স্মার্ট মাশরুম চাষ, স্মার্ট মৎস চাষ ইত্যাদি। আইওটি প্রশিক্ষণার্থীরা এই সকল প্রকল্পে অবদান রাখবে এবং নিকট ভবিষ্যতেও আরো নতুন নতুন প্রকল্পে কাজ করবে।