কার্বন ফাইবার বাইসাইকেল এই প্রথম ৩ডি প্রিন্টেড ফ্রেমে তৈরী হলো। মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-এর অর্থ তহবিল যোগানো স্টার্টআপ অ্যারেভো এই বাইসাইকেল বানিয়েছে। অ্যাভেরোর দায়িত্বে আছেন জিম মিলার। প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেটের ডেটা সেন্টার নির্মাণ আর ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনকে গ্রাহকদের কাছে দ্রুত প্যাকেজ পাঠানোর ব্যবস্থা আনতে অবদান রয়েছে মিলার-এর। মিলার বলেন, “এশিয়ায় একটি বাইসাইকেল বানাতে যে খরচ হয় আমরা ঠিক ওই পথে আছি। এর কারণ হচ্ছে এখানে শ্রমিকের খরচ একদমই কম।”
নিজেদের ডিজাইন সফটওয়্যার আর প্রিন্টিং প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্যই এই বাইসাইকেল ব্যবহার করছে অ্যারেরো। এই প্রিন্টিং প্রযুক্তি আর সফটওয়্যার বাইসাইকেল, প্লেন আর মহাকাশযানের যন্ত্রাংশ নির্মাণে ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেসব কাজে ডিজাইনাররা কার্বন ফাইবার দিয়ে মজবুত আর হালকা কিছু বানানোতে জোর দেন তাদের জন্যও এই প্রযুক্তি কাজে দেবে।
বৃহস্পতিবার অ্যারেভো জাপানের আসাশি গ্লাস, সামিতোমো কর্পোরেশন-এর সামিতোমো কর্পোরেশন অফ দ্য আমেরিকাস অ্যান্ড লেসলি ভেনচার্স-এর কাছ থেকে ১.২৫ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি খোসলা ভেনচার্স-এর কাছ থেকে ৭০ লাখ ডলার সংগ্রহ করে। এ ছাড়াও সিআইএ’র ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ইন-কিউ-টেল এই স্টার্টআপ-এ অর্থের যোগান দিয়েছে, যদিও এক্ষেত্রে বিনিয়োগের অংকটা প্রকাশ করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।
প্রচলিত কার্বন ফাইবার বাইসাইকেলগুলো বানাতে কর্মীদেরকে হাতে বানানো একটি ছাঁচের চারপাশে রেজিন দিয়ে কার্বন ফাইবারের একাধিক স্তর বানাতে হয়। তারপর ও ফ্রেম একটি চুল্লীতে গরম করা হলে রেজিনগুলো গলে যায় আর কার্বন ফাইবার স্তরগুলো একত্র হয়ে ফ্রেমের আকার ধারণ করে। এই প্রক্রিয়া ব্যয়বহুল। অ্যারেভো’র প্রযুক্তিতে একটি রোবোটিক আর্মের উপর থাকা একটি আলাদা করা যায় এমন একটি ‘মাথা’ লাগানো থাকে, এর মাধ্যমেই বাইসাইকেলটির ত্রিমাত্রিক ফ্রেইম বানানো হয়। পুরোটাই হয় একটি ধাপে।এই প্রক্রিয়ায় কোনো মানুষের কাজের দরকার পড়ে না। এর ফলে অ্যারেভো তিনশ’ ডলার খরচেই একটি ৩ডি বাইসাইকেল বানাতে পারে।