ইন্টারনেটসহ প্রযুক্তির নানা সুবিধাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে অপরাধীরা। ফলে ক্রমেই সাইবার অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সারা পৃথিবীতেই প্রচলিত অপরাধের ধরন পাল্টে সেগুলো সাইবার অপরাধে রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তাই দেশের গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দিতে এই বিষয়ে ‘বিট’ চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন আলোচকরা।
সোমবার (২ জুলাই ২০১৮) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সাংবাদিকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তারা। সাংবাদিকদের জন্য ‘সাইবার অপরাধ অনুসন্ধান ও সচেতনতা’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস (সিসিএ) ফাউন্ডেশন। সহযোগিতায় ছিল প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইজ।
সাইবার অপরাধের উৎস অনুসন্ধান বিষয়ক আলোচনা করেন সাইবার নিরাপত্তা প্রশিক্ষক ও গবেষক মো. মেহেদী হাসান। কর্মশালা শেষে আলোচনা ও অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান পর্বে অংশ নেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হাসান।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী এ কর্মশালায় অংশ নেন।
কাজী মুস্তাফিজ বলেন, বিশ্বে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে নিজেদের নামের আগে ‘ডিজিটাল’ শব্দ যুক্ত করেছে বাংলাদেশ। ফলে দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটসহ প্রযুক্তির নানা সুবিধা এখন আমাদের হাতের নাগালে। কিন্তু এসব সেবা গ্রহণে নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই। আর সচেতনতায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এজন্য তাদের পেশাগত মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেয়া উচিত। সব গণমাধ্যমে ‘সাইবার অপরাধ বিট’ চালু করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
সাইবার সচেতনতায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আব্দুল্লাহ হাসান। পেশাগত মানোন্নয়নে এর আগে ঢাকায় শতাধিক সাংবাদিককে সাইবার অপরাধ অনুসন্ধান ও সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে সিসিএ ফাউন্ডেশন। সোমবারের আয়োজন ছিল দ্বিতীয়। আগামীতেও আরো উদ্যোগ নেয়ার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে জনসচেতনতায় ২০১৫ থেকে দেশে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সিসিএ ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠান মনে করে, সমাজে সচেতনতা তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। আর এজন্যই সাইবার অপরাধ সচেতনতায় তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।