বাংলাদেশে তৈরি হবে বিশ্বমানের স্মার্টফোন। সেদিন আর দূরে নয়। এর মধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান ডিভাইস তৈরি করতে শুরু করেছে। আরো কিছু প্রতিষ্ঠান তৈরি করার অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘টেকশহরডটকম স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০১৮’ উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার মোবাইল কেন্দ্রিক সবদিকেই ফোকাস দিচ্ছে। এ ছাড়া আরো সুখবর হচ্ছে, এটুআইয়ের কাজগুলো মোবাইল নির্ভর করা হচ্ছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেন কাজগুলো আরো সহজভাবে করা যায়। সামনে মন্ত্রীসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বিষয়টি।
মোস্তাফা জব্বার জানান, স্মার্টফোন এবং ট্যাব মেলা শুধু ঢাকাতেই নয়, দরকার ঢাকার বাহিরে। কারণ ঢাকার বাহিরে যারা আছেন তাদের এই সব নতুন ডিভাইস দেখার সুযোগ দেয়া দরকার। প্রযুক্তির বিকাশে যে কোনো প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগ নিয়ে সরকারও সহযোহিতা করবে। এ ছাড়া নতুন এই প্রযুক্তিপণ্য কেনার অধিকার সবার আছে। আশা করছি শীঘ্রই এই সুযোগ ঢাকার বাহিরের মানুষরাও পাবেন।
‘টেকশহরডটকম স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০১৮’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্যামসাং মোবাইল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইউন, ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও রেজওয়ানুল হক, এডিসন গ্রুপের সিনিয়র ডিরেক্টর (হেড অব বিজনেস) মাকসুদুর রহমান, উই স্মার্ট সল্যুউশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন মুনতাসির আহমেদ, হুয়াওয়ে কনজ্যুমার বিজনেস গ্রুপ বাংলাদেশের ক্যান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যারন শী, নকিয়া বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং ইফাত জহুর, অপ্পো বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর ব্রুস লি, ভিভো বাংলাদেশের ক্যান্ট্রি সেলস ডিরেক্টর শ্যারন ওয়েন এবং এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান।
এর আগে, দেশের ব্যবহারকারীদের আধুনিক স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটার পরখ করে দেখার ও কেনার সুযোগ করে দিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে ‘টেকশহরডটকম স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০১৮’। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপি এই মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।