বেশকিছু নতুন মডেলের এসএসডি বাজারে ছেড়েছে দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। সাটা এবং এম ডট টু এনভিএমই দুই ফর্ম ফ্যাক্টরের এই এসএসডিগুলোর প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ডির্যাম ক্যাশ। ফলে এগুলো কম্পিউটারের দ্রুতগতি নিশ্চিত করবে। রিড ও রাইট স্পিড হবে অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, কম্পিউটারের প্রধান স্টোরেজ হিসেবে সলিড স্টেট ড্রাইভ বা এসএসডি বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পুরনো হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের পরিবর্তে স্টোরেজ হিসেবে এখন প্রায় সব কম্পিউটারেই এসএসডি ব্যবহৃত হচ্ছে। এর কারণ এসএসডিতে রিড ও রাইট স্পিড অনেক বেশি। ফলে কম্পিউটারের সব কার্যক্রম দ্রুততর হয়। অপারেটিং সিস্টেমের বুটের গতি অনেক বেড়ে যায়। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই স্টোরেজ ডিভাইসটি বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করে আসছে ওয়ালটন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ওয়ালটনের মেমোরি ডিভাইস ব্র্যান্ড ‘অ্যান্টিক’ এর প্যাকেজিং এ ইতোমধ্যে ২.৫ ইঞ্চির সাটা ৩ (SATA III), এম ডট টু (M.2 SATA III) এবং এম ডট টু এনভিএমই (M.2 NVMe) এই ৩টি ফর্ম ফ্যাক্টরে বিভিন্ন ধারণক্ষমতার এসএসডি বাংলাদেশের মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আরও উন্নতমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্টোরেজ ডিভাইস বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, ডির্যাম ক্যাশ ছাড়া ২.৫ ইঞ্চি সাটা ৩ এসএসডি ১২৮, ২৫৬ ও ৫১২ গিগাবাইট এবং ১ টেরাবাইট আকারে পাওয়া যাচ্ছে। দাম ২,২৫০ টাকা থেকে ১০,৯৫০ টাকার মধ্যে। ডির্যাম ক্যাশসহ একই ক্যাটাগরির ২৫৬ এবং ৫১২ গিগাবাইট এসএসডির মূল্য যথাক্রমে ৪,৪৫০ এবং ৬,৭৫০ টাকা। আর একই ধারণক্ষমতার সাটা এম ডট টু এসএসডির দাম যথাক্রমে ৩,২৫০ এবং ৫,৯৫০ টাকা।
এদিকে ডির্যাম ক্যাশ ছাড়া ওয়ালটনের এম ডট টু এনভিএমই ২৫৬ এবং ৫১২ গিগাবাইট এসএসডির দাম যথাক্রমে ৩,৫৫০ ও ৬,২৫০ টাকা। আর ডির্যাম ক্যাশসহ একই ক্যাটাগরির ২৫৬ ও ৫১২ গিগাবাইট এবং ১ টেরাবাইট এসএসডির মূল্য যথাক্রমে ৪,৫৫০, ৬,৯৫০ এবং ১৪,৫৫০ টাকা। মডেলভেদে এসএসডিতে ৩ বছর পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন মেমোরি ডিভাইসের প্রোডাক্ট ম্যানেজার রাকিব বিন কাদির বলেন, ২.৫ ইঞ্চি সাটা ৩ ফর্ম ফ্যাক্টরের মেমোরি ডিভাইসগুলো নতুন এবং পুরাতন প্রায় সব মডেলের কম্পিউটার ও ল্যাপটপের মাদারবোর্ডে ব্যবহারের উপযোগী। তাই গ্রাহকরা পুরাতন হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ পরিবর্তন করে উচ্চগতির এই স্টোরেজ ডিভাইসে তাদের কম্পিউটার আপগ্রেড করে নিতে পারবেন। এম ডট টু ফর্ম ফ্যাক্টরের সাটা এবং এনভিএমই এই দুই ধরণের ডিভাইস ব্যবহারের স্লটও প্রায় প্রতিটি আধুনিক মাদারবোর্ডে রয়েছে। প্রয়োজন এবং বাজেট অনুসারে গ্রাহকগণ যাতে সহজেই তাদের কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারে, এটি নিশ্চিত করতেই আমরা নতুন মডেলের স্টোরেজ ডিভাইসগুলো বাজারে ছেড়েছি।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং কম্পিউটার ও এক্সেসরিজ বিভাগের সিইও প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির পরিবর্তন হয়। বর্তমান সময়ে সবার চাওয়া সাশ্রয়ী দামে দ্রুতগতির টেকসই কম্পিউটার ডিভাইস। ওয়ালটনের দক্ষ প্রকৌশলীদের গবেষণায় প্রতিনিয়ত নতুন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় আমরা নতুন মডেলের এসএসডিগুলো বাজারে ছেড়েছি। এসব স্টোরেজ ডিভাইস গ্রাহকদের দিচ্ছে দ্রুতগতির কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা। ‘অ্যান্টিক’ ব্র্যান্ডের ওয়ালটন এসএসডিগুলোর বিষয়ে আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।
এসএসডি ছাড়াও বর্তমানে বাজারে রয়েছে বিভিন্ন মডেলের এক্সটারর্নাল এসএসডি, র্যাম, মেমোরি কার্ড ইত্যাদি ডিভাইস। পাশাপাশি, নানা মডেল ও ফিচারের ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, পেন ড্রাইভ, ইয়ারফোন, ওয়াই-ফাই রাউটার, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, ইউপিএস, ইউএসবি হাব, কার্ড রিডার, স্পিকার, ইউএসবি টাইপ সি ক্যাবল ইত্যাদি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। খুব শিগগিরই প্রিন্টার, পাওয়ার ব্যাংক, প্রজেক্টর, নেটওয়ার্কিং সুইচ, ওয়েবক্যাম ইত্যাদি পণ্যও বাজারে ছাড়বে ওয়ালটনের কম্পিউটার বিভাগ।