আধুনিক তরুণদের দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ স্মার্টফোন। হোক কাজে, হোক বিনোদনে, স্মার্টফোন এখন নিত্য চলার সঙ্গী। আর সোশাল ডিস্টেন্সিং এর বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্মার্টফোন ছাড়া একটা দিনও ভাবা যায় না। সারাদিনের সব কাজ কিংবা বিনোদনের জন্যে তাই প্রয়োজন এমন একটি ফোন, যা ব্যাটারি থেকে ক্যামেরা, চিপসেট থেকে ডিসপ্লে, সব ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। হালের তরুণদের প্রতিদিনের প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণে সর্বোচ্চ মানের স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছে ‘গার্ডিয়ান অব কোয়ালিটি’ অপো।
উন্নত প্রযুক্তিতে অনন্য হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন, চোখ ধাঁধানো ডিজাইন, উদ্ভাবনী ভোক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক সব ফিচারে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অপো। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় গ্রাহকদের হাতে আরো সুলভ মূল্যে সেরা মানের স্মার্টফোন তুলে দিতে ২০১৯ এর শেষের দিকে অপো গাজীপুরে ‘বেনলি ইলেক্টনিক এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড’ নামে নিজস্ব ফ্যাক্টরি স্থাপন করে এবং প্রতি বছর এ ফ্যাক্টরি থেকে প্রায় ১০ লক্ষ স্মার্টফোন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
অত্যাধুনিক যন্ত্র, দক্ষ কর্মীর সাহায্যে নিখুঁতভাবে তৈরি হয় প্রতিটি স্মার্টফোন। সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে কর্মীদের ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ থেকে শুরু করে ফোনের ফিনিশিং টাচ পর্যন্ত প্রতিটি প্রক্রিয়ায় নেয়া হয় বিশেষ সতর্কতা।
ফ্যাক্টরিতে উচ্চতর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি ওয়ার্কশপে প্রবেশের সময় সবাইকে এয়ার-ভেন্ট সমৃদ্ধ একটি ছোট কক্ষের মধ্য দিয়ে যেতে হয় যেন ভেতরে কোনপ্রকার ধূলিকণা বা ময়লা না পৌঁছায়। আর সঠিকভাবে মান পরীক্ষার পরই গুদাম থেকে নানান উপাদান সামগ্রী অ্যাসেম্বলি লাইনে নেয়া হয়। তাছাড়া, সর্বোত্তম ফলাফলের জন্যে বিভিন্ন যন্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রমাগত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। যেকোনো প্রকার জীবাণুর সংক্রমণ রোধে সব কর্মীকে যথাযথভাবে জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে হয়। ফ্যাক্টরিতে ৬০০’র বেশি কর্মী আছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন মান নিয়ন্ত্রনের কাজ করে থাকেন। এর ফলে অপো’র প্রতিটি স্মার্টফোনে নিশ্চিত হয় সেরা মান।
অপো বাংলাদেশ এইডি’র (অথারাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর) ফ্যাক্টরি-ইন-চার্জ রেমন্ড চেন তাদের পণ্যের গুণগত মানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, “গ্রাহকদেরকে চাহিদা অনুযায়ী আমরা আমাদের পণ্যগুলোতে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছি। পণের মান নিয়ন্ত্রণ, উন্নত ম্যানেজমেন্টের জন্যে আমাদের সকল কর্মীকে নানান প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে, যেগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তাদের দক্ষতা আরো বাড়াচ্ছে। এছাড়া এসব প্রশিক্ষণের ফলে আমাদের পণ্যের মান প্রতিনিয়ত আরো উন্নত হচ্ছে। এভাবেই উন্নত প্রযুক্তির এবং গুনগত মানের ডিভাইস এনে বাংলাদেশ সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণে সহায়তা করে যাচ্ছে অপো।”
পন্যের অ্যাসেম্বল শেষে অত্যন্ত যত্নের সাথে সেগুলোকে অপো স্টোরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়, যেগুলো পরবর্তীতে চলে যায় গ্রাহকদের হাতে হাতে। পণ্যের গুণগত মান, পারফরম্যান্স, অসাধারণ ক্যামেরা ও অনন্য ডিজাইন সবসময়ই অপো’র মূল ইউএসপি। আর এসব কারণে প্রতিনিয়ত অপো’র গ্রাহকপ্রিয়তা বাড়ছে। আর তাই ‘গার্ডিয়ান অব কোয়ালিটি’ হিসবে অপো এ ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।