বর্তমান সময়ে নারী স্বাধীনতার দুয়ার অনেকাংশে খুললেও নিরাপত্তার দিক থেকে উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশ্বজুড়েই নারী নিপীড়নের মাত্রা বেড়েছে। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নারীদের ওপর যৌন হেনস্তার মাত্রা চরমে পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির নারীদের সুরক্ষায় এক ‘অভিনব জুতা’ উদ্ভাবন করলেন বাপ্পা রায় নামে ভারতের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মী।ওই জুতা পরলে যে কোনো বিপদ থেকে নিজেকে সুরক্ষা করতে পারবেন নারীরা। হঠাৎআক্রমণকারীকে প্রতিহতও করতে পারবেন।
উদ্ভাবক রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের কর্মী বাপ্পা রায়ের দাবি, এ জুতা পরলে ইভটিজিং, অপহরণ আর আক্রমণের মতো বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন নারীরা। অপহৃত হয়ে যাওয়ার মুহূর্তে স্থানীয় নিরাপত্তা রক্ষা বাহিনীকে তথ্য সরবরাহ করতে পারবে। বৈদ্যুতিক শখ দিয়ে আক্রমণকারীকে ধাক্কা দিতে পারবে। বাপ্পা রায় এ জুতার নাম দিয়েছেন – ‘সেফটি সু’।
তিনি বলেন, এই সেফটি সুতে রয়েছে বিশেষ কিছু টেকনোলজি। এখানে জিপিএস সিস্টেম জুড়ে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সহজেই লোকেশন ট্র্যাকিং করা যাবে। এতে থাকবে ৬০০ ভোল্টের এসি কারেন্ট। এই বৈদ্যুতিক ক্ষমতা দিয়ে অনায়াসে আক্রমণকারীকে কুপোকাত করা যাবে। এ ছাড়া জুতায় এক ধরনের সেন্সর লাগানো থাকবে, যা রাস্তায় চলার সময় কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে বিশেষ সিগন্যাল দেবে। এ সেফটি জুতা খুব শিগরির ভারতের বাজারে আসছে বলে জানিয়েছেন বাপ্পা রায়।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমসকে তিনি বলেন, সমসাময়িক পরিস্থিতিতে নারীদের জন্য এটি খুবই কার্যকরী জুতা। এর দামও হাতের নাগালেই থাকবে।তিনি বলেন, এর ভেতরে যে সার্কিটটি রয়েছে তা তৈরিতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৪০ টাকা। সার্কিটের ভেতরে রয়েছে ডায়োড, ট্রানজিস্টর, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি। এর ভেতরের লিথিয়াম ব্যাটারি চার্জের জন্য আলাদা সময় নিতে হবে না। হাঁটতে হাঁটতেই ব্যাটারি চার্জ হবে।
সাড়া ফেললে পরে এই সেফটি সুতে চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন ফিচার যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আবিষ্কারক বাপ্পা রায়। জানা গেছে, শিগগিরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিআরডিও সেন্টারে এই অভিনব জুতার মোড়ক উন্মোচন করা হবে।