জিমেইল ব্যবহার করে যে বার্তা পাঠানো কিংবা গ্রহণ করা হচ্ছে, তা কেবল মেশিনই না, কখনও কখনও থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ডেভেলপার পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সার্চ জায়ান্ট গুগল। মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
থার্ড পার্টি অ্যাপ বলতে অফিসিয়াল অ্যাপ ছাড়া তৃতীয় কোনো নির্মাতার অ্যাপকে বোঝানো হয়। যেমন আপনি যদি ফেসবুক, গুগল কিংবা টুইটারের অ্যাপ প্লে স্টোরে খোঁজেন, তবে দেখবেন তাদের নিজস্ব অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপ সেখানে রয়েছে। যেগুলো অন্যান্য ডেভেলপারের তৈরি। এগুলোই হচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপ।
অন্য কথায় কোনো কাজের কিংবা সার্ভিসের জন্য আগে থেকেই তৈরি অফিসিয়াল অ্যাপ থাকার পরও একই কাজের জন্য থার্ড পার্টি ডেভেলপাররা যেসব অ্যাপ বানান সেগুলোই থার্ড পার্টি অ্যাপ। এই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অসচেতনভাবে তাদের কর্মীদের জিমেইলের বার্তা পড়ার অনুমতি দিয়েছেন। ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে একটি কোম্পানি জানিয়েছে, এটি খুবই স্বাভাবিক চর্চা। যেটি গোপন রাখা হয়।
কিন্তু এ ধরনের চর্চা তাদের নীতিমালার বাইরে নয় বলে আভাস দিয়েছে গুগল। একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, এটি খুবই বিস্ময়কর যে গুগল এ ধরনের চর্চার অনুমতি দিয়েছে। ইমেল সেবায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে জিমেইল। ১৪০ কোটি লোক এ সেবা ব্যবহার করেন।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, কম্পিউটারের আলগরিদম মাধ্যমে যখন ইমেল পাঠানো হতো, তখন বেশ কিছু কোম্পানির কর্মীরা সেখান থেকে হাজার হাজার বার্তা পড়েছেন। এডিসন সফটওয়্যার কোম্পানি বলেছে, নতুন একটি সফটওয়্যার ফিচার তৈরি করতে তারা কয়েক হাজার ব্যবহারকারীর ইমেল পর্যবেক্ষণ করেছে।
অন্য একটি ফার্ম ইডেটাসোর্স ইনক জানিয়েছে, আলগরিদমের উন্নয়নে তাদের প্রকৌশলীরা ইমেইল পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তবে গুগল বলছে, গুগলের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোই কেবল ব্যবহারকারীর অনুমতি পেলে মেইলে ঢুকতে পারে।