দেশের ই-কমার্স খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। এই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারাই। তারা একজোট হয়ে দেশকে ডিজিটালের পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চান। এর সূচনা হয়েছে দ্য চেঞ্জ মেকার্সে টিমের হাত ধরে। তারা ডাক দিয়েছেন পরিবর্তনের৷ যে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) সিলেকশন আর স্বেচ্ছাচারিতায় আটকে ছিল চেঞ্জ মেকার্স নির্বাচনের মাধ্যমে একে সদস্যদের সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিতে সে বলয় ভেঙে দিয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত ই-কমার্স সদস্যদের নিয়ে আলাপচারিতার এক অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের মনোভাব তুলে ধরে বললেন, চেঞ্জ মেকার্স যেটা করেছে সেটা রীতিমতো তাদের বিজয়। একটা কুক্ষিগত সংগঠনকে নির্বাচনে আনতে পারা বড় কিছু। আর পরিবর্তন যেটা সেটাতো চোখের সামনেই৷ যে সদস্যরা মূল্যায়ন পেতেন না, তারা এখন কেন্দ্রবিন্দুতে। চেঞ্জ মেকার্সের যে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি ও কাজ তাতে এ নির্বাচনে স্পষ্ট এগিয়ে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের ইতিবাচক প্রচার সামনে আসছে।
এক সদস্য বলেন, চেঞ্জ মেকার্সের নির্বচনের মূল আকর্ষণ হলো, মেম্বারদের মধ্যে পরিবর্তনের এক অঙ্গীকার। তারই ধারাবাহিকতায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘চেঞ্জ মেকার্স ‘নামের ৯ সদস্যের প্যানেল ঘোষনা করা হয়। প্যানেল সদস্যরা হচ্ছেন শাফকাত হায়দার (সিপ্রোকো কম্পিউটার), ওয়াসিম আলিম (বাংলামেডস), মো. তাসদীখ হাবীব (ক্লিনফোর্স), জিসান কিংশুক হক (আরটিএস এন্টারপ্রাইজ), মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (কিনলে), আবু সুফিয়ান নিলাভ (নিজল ক্রিয়েটিভ), বিপ্লব ঘোষ রাহুল (ই-কুরিয়ার), ইলমুল হক সজিব (সেবা ডট এক্সওয়াইজেড) এবং নুসরাত আক্তার লোপা (হুর নুসরাত)। প্যানেলের সবাই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ এবং সদস্যদের আস্থাভাজন। মডার্ন ইলেক্শন ক্যাম্পেইন, মেম্বার্স এনগেজমেন্ট মিট-আপ সহ নানা রকম ইনোভেটিভ এক্টিভিটিজের মাধ্যমে ‘চেঞ্জ মেকার্স’ একটি ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
নির্বাচনে কাকে বেছে নেবেন এবং কেন এমন প্রশ্নের জবাবে এক সদস্য বলেন, যোগ্য ও কাজের প্রার্থীকে বেছে নেব। আমি নতুন মুখ ও পরিবর্তন চা্ই। সেটা চেঞ্জ মেকার্সের হাত ধরেই আসুক। ইতিমধ্যে নির্বাচনে ফি কমানো নিয়ে তাদের উদ্যোগ মুগ্ধ করেছে।
আরেক সদস্য বললেন, ই-কমার্স খাত যে অস্থিরতায় গেল এবং কিছু মানুষের বিতর্কিত কার্যকলাপ পিছনে ফেলে আমরা ইতিবাচকতার নতুন পথে যেতে চাই। আশা করি যোগ্য হাতেই যাবে দায়িত্ব। এ জন্য পরিবর্তনকে আমাদের বরণ করে নেওয়াটাই সময়ের দাবি।
মিরপুর এরিয়ার এক পুরনো সদস্য বলেন, আমি গত চার বছর থেকে মেম্বার কিন্তু কখনও একটা সৌজন্য কলও পেলাম না বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে। কিন্তু নির্বাচন উপলক্ষে ভালই কল, এসএমএস এবং সবার সাথে নতুন করে যোগাযোগ হচ্ছে। চেঞ্জ মেকার্স টিমের কারণে আসলেই পরিবর্তন আসছে।