গেম খেলা ছাড়তে পারছেন না? অর্থাৎ, গেমে আসক্তি জন্মে গেছে। এ বিষয়টিকে ‘গেমিং ডিসঅর্ডার’ বলে। চলতি বছরে ইলেকট্রনিক গেম খেলার ঝুঁকি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে গেমিং ডিসঅর্ডার রোগ বলে গণ্য করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শুক্রবার ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন অব ডিজিজেসের (আইসিডি) ১১ তম সংস্করণে গেমিং ডিসঅর্ডার অন্তর্ভুক্তির চিন্তাভাবনা চলছে। আগামী জুনে ওই সংস্করণ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক।
তারিক জাসারেভিকের ভাষ্য, বর্তমানে গেমিং ডিসঅর্ডারের সংজ্ঞায় বলা হয়, এটি এক ধরনের গেমিং আচরণ যা ডিজিটাল গেমিং, ভিডিও গেমিং হতে পারে। যখন অন্য কোনো কার্যক্রমের চেয়ে গেমিং প্রাধান্য পেতে শুরু করে এমনকি অন্য কোনো আগ্রহের চেয়ে গেমিং আগ্রহ অতিমাত্রায় দেখা যায় তখন এ সমস্যা সৃষ্টি হয়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব ঘটা সত্ত্বেও গেম খেলা চালিয়ে যাওয়া বা গেমের উদ্দীপনা বেড়ে যাওয়া। অস্থায়ী নির্দেশিকাতে বলা হয়, এ ধরনের রোগের চিকিৎসা করার আগে কমপক্ষে এক বছর গেম নিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ আছে কিনা দেখতে হবে।
তবে জাসারেভিক সতর্ক করে বলেন, গেমিং ডিসঅর্ডার নতুন ধারণা এবং মানুষের ক্ষেত্রে এর মহামারি সংক্রান্ত তথ্য গবেষণা করা হয়নি।
তবে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকলেও এই বিষয়টির প্রতি একমত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাই একে আইসিডিতে অন্তর্ভুক্তি করার বিষয়টি পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।